আরিফ, হারিছ ও গৌছের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চতুর্থ দফার সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। রবিবার বেলা ১টার দিকে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে হবিগঞ্জ আদালতের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রশিদ আহমেদ মিলন সম্পূরক চার্জশিটে আসামী হওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা আবুল হারিছ চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গৌছসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল এই ১১ জনের নাম যোগ করে রবিবার হবিগঞ্জের আদালতে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।
রবিবার সম্পূরক চার্জশিট আদালতে জমা দেয়ার পর শুনানি শেষে নতুন আসামীদের পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন আদালত। আদালত আগামী ৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন আদালত।
এর আগে ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুননেছা পারুল নতুন ১১ জনসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক রোকেয়া বেগমের আদালতে তৃতীয় দফার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
পরবর্তীকালে ৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার দুই আসামি আরিফুল হক চৌধুরী ও জিকে গউসের নাম ঠিকানা সংশোধনপূর্বক ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ দফা সম্পূরক চার্জশিটের নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে, আদালতে চার্জশিট গ্রহণের পর আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে, বিএনপি ওই চার্জশিটকে ভূয়া আখ্যায়িত করে শহরে আরো একটি মিছিল বের করে। একপর্যায়ে শহরের প্রধান সড়কের কোর্ট মসজিদের সামনে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যুবদলের এক কর্মী আহত হয়। তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকায় একটি জনসেভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া শাহএএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন।