তাহিরপুরে ৯টি গরু সহ আন্ত:উপজেলা গরু চোরদের সর্দার গ্রেফতার
৯ গরু চোরের সন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চুরি করে নিয়ে আসা ৯টি গরু সহ আন্ত:উপজেলা গরু চোরদের এক সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার কৃত সর্দারের নাম বিল্লাল হোসেন। সে উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উওর বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের দেয়া গোপন সংবাদের ভিক্তিত্বে মাহারাম গ্রামের গরু চোরের সর্দার বিল্লাল হোসেনের বসতবাড়ি থেকে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপ-পরিদর্শক) সামিউল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ৯টি চুরি করা সহ বিল্লালকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানায়, তার গরু চুরির টিমে নিজের দু’ছেলে সহ ১০ সদস্য রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ছোট ট্রলার নিয়ে ধান চাউল ব্যবসায়ী সেজে নৌ-পথে তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রাতে নদীরঘাটে ট্রলার নিয়ে থাকত । পরে বিভিন্ন সময়ে ঐ সব গ্রাম থেকে ধান চাউল ব্যবসার বাহানা ধরে সময় সুযোগ বুঝে গরু চুরি করে সীমান্তবর্তী মাহারাম গ্রামে নিয়ে এসে সর্দার বিল্লালের বসত ঘরেই রাখতো। গ্রামের লোকজন জানতো বিল্লাল গরুর পাইকারি ব্যবসা করতো বলে। চুরির গরু কোন কোন সময় টাকার বিনিময়ে মালিককে ফেরত দেয়া হতো আবার কোন কোন সময় তাহিরপুরের বাদাঘাট ও বিশ্বম্ভরপুরের চিনাকান্দি বাজারে বিক্রি করে দেয়া হতো এর মধ্যে ভালো মানের মোটাতাজা গরু হলে সীমান্তের ওপারে বিক্রয় করে দেয়া হত। বিল্লালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত দু’বছরে কমপক্ষে শতাধিক গরু চুরি করে অন্যত্র বিক্রয় করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০-২৫টি গরু টাকার বিনিময়ে মালিক পক্ষকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিল্লালের গরু চোর গ্রুপে রয়েছে, তার ছেলে বাদশা মিয়া, আক্কাছ মিয়া, ব্রাম্মণগাঁও’র আব্দুল হাই, সুরুজ আলী, হলহলিয়া চরগাঁও’র আব্দুল হেকিম, কাউকান্দি গ্রামের জাহের মিয়া, সীমান্তর্তী পুটিয়া গ্রামের হানিফা, আলা উদ্দিন, ফজু মিয়া।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান খাঁন জানান, বিল্লাল সহ ১০ চুরের বিরুদ্ধে থানায় রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যচোরদের গ্রেফতারে পুলিশী চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।