আরও দু’টি গ্রেনেড মামলার আসামী হচ্ছেন আরিফ!
দেশজুড়ে গুঞ্জণ, আশঙ্কা : আরিফ আত্মগোপনে ?
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের চাঞ্চল্যকর আরও দু’টি গ্রেনেড-বোমা হামলার হামলায় ফেঁসে যেতে পারেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মহলে এমন গুঞ্জণ চলছে। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ নতুন করে নয় জনের নাম যোগ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গত বৃহস্পতিবার আদালতে দেয়ার পর থেকে মেয়র আরিফকে আর জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়র আরিফুল হকের ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত সিটি কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতাদের অনেকেই সুরমা টাইমসকে জানিয়েছেন, মেয়র আরিফকে শুধু সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায়-ই নয়, ওলীকুল শিরোমণি হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগায় ঢাকাস্থ সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড ও ওরসে বোমা হামলার মামলায় জড়ানোর আভাস মিলেছে।
তাদের মতে, যেকোনো সময় চাঞ্চল্যকর এ দু’টি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হতে পারে।
তবে, সিলেট তথা দেশ-বিদেশে আলোচিত এ মামলায় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে জড়ানোর যে আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতারা এর পক্ষে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি। শুধু বলছেন, মেয়র আরিফুল হক নিজেই এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ঘনিষ্টজনদের। এব্যাপারে জানতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন, মেয়র জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে, মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে সিলেট সিটি করপোরেনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ নতুন করে নয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তৃতীয় দফার সম্পূরক চার্জশিটে আরিফুল হক চৌধুরী, হারিছ চৌধুরী ও জিকে গউসের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা, অর্থ দিয়েসহ বিভিন্নভাবে হামলাকারি জঙ্গিদের সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের আদালতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর থেকে মেয়র আরিফকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। করপোরেশনের কোনো কর্মক্রমেও তার অংশগ্রহণ নেই। গত সাতদিন ধরেই সিলেটে নেই তিনি। এমনকি নগরপিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। ধারণা করা হচ্ছে-গ্রেফতার এড়াতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আত্নগোপন করেছেন। মেয়র আরিফ অফিসও করছেন না। তাই নগরবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মেয়র আরিফ আত্মগোপনে না নিখোঁজ। কেউ এর সঠিক জবাব দিতে পারছেন না। রহস্যজনক কারণে আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি বা প্রতিবাদ গণমাধ্যমে পাঠানো হয় নি। নগর ভবনের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুরমা টাইমসকে বলেন, চার্জশিটের পর থেকে সিটি মেয়র নগর ভবনের আর অফিসে আসেননি। তিনি অনেকটা ভড়কে গেছেন । আরিফ কোথায় আছেন সে কথাও তারা বলতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবারের পর থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর নগর ভবনে অফিস না করার কথা স্বীকার করে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব সুরমা টাইমসকে বলেন, মেয়র জরুরি কাজে ঢাকায় আছেন। তাই তিনি অফিসে আসছেন। কবে থেকে অফিস করবেন এব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেন নি তিনি।