ছাতক ভূমি অফিসে চলছে সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়ম : জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ
ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতক ভূমি অফিসের অভ্যন্তরে চলছে সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব। একটি অসাধু চক্রের মাধ্যমে এসব ঘুষ বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ২৭অক্টোবর ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের জনৈক মাসুক আলী এক লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, তার নামজারি মোকদ্দমা নং-১২০৭/১২-১৩ইং করতে গিয়ে প্রধান অফিস সহকারি সত্যেন্দ্রলাল রায় পিয়ন ইমান আলীর মাধ্যমে এন্ট্রি ফি বাবত ৫শ’ টাকা, তহসীলদারের রিপোর্টের জন্য ১হাজার টাকা, কানোনগো ১হাজার টাকা, জারিকারক মজলিশের ৫শ’ টাকাসহ আদায় করেন ৫হাজার টাকা। এরপরও ক্ষান্ত না হয়ে তার কাছে ২০হাজার টাকা দাবী করে এসব দূর্নীতিবাজ। কিন্তু একটি নামখারিজের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় সাড়ে ৩৭টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ৩৭হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে ভূমি অফিস ঘিরে রেখেছে এসব অপরাধিরা। টাকা না দেয়ায় দীর্ঘদিন পরও নামখারিজ না হওয়ার কারন জানতে চায় মাসুক আলী। এতে প্রধান অফিস সহকারি সত্যরঞ্জন রায় কাগজপত্র মিল না থাকার অজুহাতে তাকে ২০হাজার টাকাই দিতে হবে বলেন। অফিসের প্রধান সহকারি এমএলএসএস ইমান আলীর নেতৃত্বে চলছে এসব অপকর্ম। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন খাজনা দাখিল, নামজারি ও জমা খারিজসহ বিভিন্ন কাজে উপজেলার ১৩ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার লোকজন ভূমি অফিসে ভীড় করলে দালালের মাধ্যমে লোকজনের কাছ থেকেও সরকার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০১৩ ‘খ’ তালিকা বাতিলের ঘোষনা করায় ভূমি মালিককে নামজারিসহ কাগজপত্র সংশোধনের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। উপজেলা তহশীল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী খাজনা আদায়ে অতিরিক্ত টাকা নিলেও রিসিপ্ট দেন নামমাত্র টাকার। ভূক্তভোগীরা জানান, এ অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না। দীর্ঘদিন থেকে এখানে সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও ঘুষ-বাণিজ্য বিরাজ করছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর আবেদন। এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদটি শূন্য থাকায় সত্যেন্দ্রলাল রায়কে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।