ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে নিষেধ করলেন নির্বাহী কর্মকর্তা
কানাইঘাট প্রতিনিধি: সুরমা নদীর মারাত্মক নদী ভাঙ্গন কবলিত কানাইঘাট গাছবাড়ী বাজার ও সংলগ্ন এলাকা থেকে শক্তিশালী একাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় গাছবাড়ী বাজার সংলগ্ন আশপাশ এলাকায় একদিকে নদীভাঙ্গন রোধে কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বেড়িবাঁধের কাজ চলছে অন্যদিকে একই জায়গা থেকে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদী তীরবর্তী জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। জেলা প্রশাসন সিলেটের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়াকে নির্দেশ দেয়া হলে তিনি গতকাল বুধবার সরজমিনে গাছবাড়ী বাজার সুরমা নদীর বালু উত্তোলনের স্থানটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত অস্তিত্ববিহীন দলইকান্দি বালু মহালের ইজারাদার কানাইঘাটের তালবাড়ী গ্রামের জনৈক জাবির আশরাফ চৌধুরীকে ভাঙ্গন কবলিত গাছবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন না করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে নির্দেশ দেন। লীজের শর্ত ভঙ্গ করলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইজারাদারকে সর্তক করে দেন। ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শনের সময় উত্তেজিত হয়ে বালু মহালের লীজ গ্রহীতা জাবির আশরাফ চৌধুরী বলেন, আমি ২২ লক্ষ টাকায় দলইকান্দি বালু মহাল ইজারা এনেছি জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছি বাধ্য হয়ে। জেলা প্রশাসক কেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা লীজ দিয়েছেন তা আমি জানিনা। এক পর্যায়ে জাবির আশরাফ চৌধুরী পরিবেশ বিধ্বংসী একাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ যাতে আর পত্রিকায় প্রকাশিত না হয় সেজন্য তিনি সরজমিনে উপস্থিত স্থানীয় দুজন সাংবাদিককে নগদ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতেও চান। নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙ্গন কবলিত সুরমা নদীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে যাতে করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা না হয় সে জন্য সার্বিক বিষয়টি তদারকী করার জন্য স্থানীয় তহসিলদার শাহাব উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।