শিল্পী পরিচয়ের অন্তরালে ভয়ানক এক আরেফিন রুমি
প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায্য বিচার চেয়েছেন অনন্যা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ অারফিন রুমি একজন নিচ প্রকৃতির মানুষ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায্য বিচার চেয়েছেন রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা। সংগীতশিল্পী আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যা রবিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন। অন্যায়ভাবে অধিকার হরণ, নির্যাতন ও মানসিক চাপ প্রয়োগের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন অনন্যা।
লামিয়া ইসলাম অনন্যা বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক জীবনে হঠাৎ করে নেমে আসা দুর্যোগ সম্পর্কে আপনারা সবাই কমবেশি অবগত আছেন। পাশাপাশি আমার ও আমার সন্তান আরিয়ানের জীবনে নেমে আসা দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রতি মুহুর্তে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা এগিয়ে চলতে সাহস যুগিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আমাদের জীবনে প্রতি মুহুর্তে ঘটে চলা ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক ভাইয়েরা বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করলেও পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। একারণে পরিচিত কিছু সাংবাদিক ভাই ও আমার অভিভাবক তুল্য যারা আছেন, তারা বারবারই সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে স্পষ্ট ধারণা দিতে বলেছেন। সেজন্যেই সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় আমার কি করনীয়, কি করা উচিৎ, কখনোই বুঝে উঠতে পারিনি। রুমি’র সঙ্গে চলমান মামলা’র পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ জুন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি জানিয়ে দিতে চাই কি করছে রুমি। কিভাবে আমার অন্যায়ভাবে অধিকার হরণ করে এখন আবার মানসিক চাপে রেখেছে?
অনন্যা জানান, শিল্পী পরিচয়ের অন্তরালে রুমি খুবই নিচু মানসিকতার একজন। এই মুহুর্তে ওর নানারকম কটুক্তি আর বিভিন্নজনকে দিয়ে যে চাপ সৃষ্টি করছে তাতে আমাদের জীবন নিয়ে শংকায় আছি। আইনিভাবে নানা জনকে ম্যানেজ করে আমাদেরকে নানাভাবে প্রতিহত করতে চাচ্ছে। একটি লোক প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করে বুক ফুলিয়ে চলছেন। আর আমরা কষ্টে ও শংকায় আছি। বারবার আপোষে বসতে চেয়েও কিছুই হচ্ছে না। এর মধ্যে আমার আর আমার মায়ের ওপর হামলা ও আমাদের বাড়িতে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটে। যেগুলো রুমি তার লোকজন দিয়ে করিয়েছে।
এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং আমি যেন বেঁচে থাকার নিরাপত্তাটুকু পাই, সে ব্যাপারটাই আমি মিডিয়ার মাধ্যমে বলতে চাই। আমি এ বিষয়ের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, সুধীজন ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। সুবিচার চাচ্ছি। নিরাপত্তা চাচ্ছি।