নিরাপদ মার্তৃত্ব নিশ্চিত করতে দারিদ্রতা কোন বাধা নয়,প্রয়োজন সকলের সচেনতা
নবীগঞ্জে বিশ্ব নিরাপদ মার্তৃত্ব দিবসে ডেপুটি সিভিল সার্জন
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে এবং এফ আইভিডিবি,মা-মনি এইচ এস প্রকল্পের সহযোগীতায় গতকাল বুধবার বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়েছে। সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে র্যালীর উদ্বাধন করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ লূৎফুর রহমান। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে শেশ হয়। পরে উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অর্ধেন্দু দেবের সভাপতিত্বে এবং মেডিকেল টেকনলজিষ্ট অজিত কুমার দাশের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ অজিত কুমার রায়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী,নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এটি এম নুরুল ইসলাম খেজুর,সাধারন সম্পাদক প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল,উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পঃ পঃ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, ডাঃ সুদীপ বালা। সআবগত কবক্তন্য রাখেন উপজেলা মা-মনির কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ রায়হান, আব্দুল আহাদ সাদী প্রমূখ। অনুষ্টানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন স্বাস্থ্য সহকারী নুরুল হোসেন,গীতা পাট করেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক গোপেশ চন্দ্র দাশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,মা-মনির টেকনিক্যাল অফিসার অঞ্জন চৌধুরী,মোঃ হেলাল আহমদ,আকিদুল ইসলাম,প্রাইভেট সিএসভিএ রুবিনা বেগম,শাহনাজ আক্তারসহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন,একমাত্র শিক্ষাই পারে সমাজের সকল স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। নিরাপদ মার্তৃত্ব নিশ্চিত করতে দারিদ্রতা কোন বাধা নয়,প্রয়োজন সকলের সচেনতা। তাই মার্তৃ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে মা-মনির মত অন্যান্য সবাইকেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম বলেন,সামাজের সকল স্তওে নারী-পুরুষ নির্যাতন রোধ করে সকল নারী-পুরুষের মাঝে আন্তরিক সমঝোতার মাধ্যমে নিরাপদ মার্তৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন,সমাজে নিরাপদ মার্তৃত্ব নিশ্চিত করতে মায়েদেরই ভুমিকা পালন করতে হবে। পরিবারে ৯০ ভাগ কাজই মহিলার করেন আর পুরুষ করেন ১০ ভাগ। তাই পুরুষদেরকে আরো দায়িত্বশীল ভুমিকার পালন করতে হবে। উল্লেখ্য চলতি মে মাসে মা-মনির উদ্যোগে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ১২টি গ্রামে প্রসবকালীন মার্তৃ মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটনের জন্য ২টি টীমে ৪ দিন পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শন কালে দেখা যায় ১২পি পরিবারের মাঝে ৮টি পরিবারই নিরক্ষর এবং অধিকাংশ পরিবারই সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা,আর্থিক অসচ্ছলতা, পুত্র সন্তানের জন্য একাধিক সন্তান ধারন,অধিক রক্তক্ষরনসহঅন্যান্য উল্লেখযোগ্য করান রয়েছে।