কুলাউড়া গ্রীড স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে জুন মাসে
কুলাউড়া-জুড়ী বড়লেখার বিদ্যুতের দুর্ভোগ লাঘব হবে
নুরুল ইসলাম শেফুল: কুলাউড়ায় গ্রীড স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। আর এই গ্রীড স্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হলে লাঘব হবে কুলাউড়া-জুড়ী-বড়লেখা উপজেলার বিদ্যুতের দুর্ভোগ। কুলাউড়া ছাড়াও শেরপুরে একই রকম আরেকটি গ্রীড স্টেশনের নির্মাণকাজ হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিশাল বিশাল টাওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুত লাইন টেনে আনা হবে কুলাউড়া বিদ্যুত উপকেন্দ্রে। কুলাউড়া উপকেন্দ্র হতে সরবরাহ করা হবে কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায়। লাইন টানার কাজসহ গ্রীড স্টেশনের নির্মাণ কাজ প্রায় ৮৩ ভাগ শেষ। শুধু উপকেন্দ্রের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী লিমিটেড বাংলাদেশের অধীনে কুলাউড়ায় ১৩২/৩৩ কে.বি. গ্রীড উপকেন্দ্রের কাজ আগামী জুন মাসে শেষ হবে। জুলাই মাসে এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশি¬ষ্ট সুত্র জানিয়েছে। ২০১৩ সালের মে মাসে এই প্রকল্পের কাজ আরম্ভ করে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী লিমিটেড বাংলাদেশের অধীনে এনার্জি প্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি কোম্পানী। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত ৮৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কুলাউড়া ও শেরপুর গ্রীডের কার্যক্রমের জন্য দেশী তহবিল থেকে ১১.৭২ মিলিয়ন মার্কিন ড্রলার এবং বিদেশী তহবিল থেকে ১৬.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্ধ হয়। এ পর্যন্ত এই দুই গ্রীডে প্রায় ১০হাজার ৫৪০দশমিক ৫৪ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এই গ্রীড প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে কুলাউড়া বিদ্যুত ব্যবস্থার চিত্র। সরবরাহ কেন্দ্র ৩৩ কে.বি. বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করবে। থাকবেনা লো ভোল্টেজ। তাছাড়া এই প্রকল্প চালু হলে ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধ হবে। কৃষিখাতে এখন এই এলাকার কৃষকরা বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছে না, তবে এই কার্যক্রম শেষ হলে কৃষকরা এই সুবিধা পাবে। ইনডাস্ট্রিয়াল কাজের জন্য সরাসরি বিদ্যুত সংযোগ নেয়া যাবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হিমাগারে সংগৃহিত কাঁচামাল দীর্ঘদিন সংগ্রহ করা যাবে।