শাল্লা সদর হাসপাতালের রোগীরা জনদুর্ভোগে
শাল্লা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মানুষ চিকিৎসা নিয়ে জনদুর্ভোগে পড়েছে। বর্তমান সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌছে দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। কিন্তু সরকারের দেয়া সেসব পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিচ্ছে চিকিৎসা নামধারী অসাধু কর্মকর্তাগন। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শাল্লা উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এলেও না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যস্থাপনায় অনিয়ম থ্াকায় চিকিৎসা দিতে আসা ইনডোর ও আউটডোরের রোগীরা সময়মতো ডাক্তার,্্ ঔষধ এবং পন্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উটেছে। এছাড়াও সরকারী ঔষধ রোগীদের মাঝে সরবরাহের ক্ষেত্রেও নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় বাজার থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এমনকি হাসপাতালের বর্তমান চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো নিয়মকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো আসা যাওয়া করছেন। এছাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কোনো ডাক্তার না বসে নার্সকে বসিয়ে কাজ চাল্লাচ্ছেন। ফলে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারের রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের পরিবর্তে বাসায় বসে ২০০ টাকার ভিজিটে মাধ্যমে রোগী দেখছেন ডাক্তার হেলাল উদ্দিন। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, হাসপাতালে গাইনি বিভাগের কোনো ডাক্তার না থাকায় প্রসূতি রোগীদের চিকিৎসা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ হেলাল উদ্দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যারফলে এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেডিসিন বিভাগের হয়ে গাইনি বিভাগের চিকিৎসা করে কিভাবে? এব্যপারে ডাক্তার হেলাল উদ্দিনের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের মোবাইল নম্বর দেখে বন্ধ করে পেলেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুপুর ১২ টার সময় জরুরী বিভাগে কোনো ডাক্তার নেই। কয়েকজন রোগীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা বহু দুর থেকে এসে বিপদে পড়েছি। শাল্লা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে সময়মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না। যদি রোগী দেখাতে হয় তাহলে হেলাল স্যারের বাসায় ২০০ টাকা দিতে হয়। তারা বলেন সরকারী হাসপাতালে ২০০ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করার চেয়ে বেসরকারী হাসপাতালে ৫০০ টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাব তবুও এই হাসপাতালে আর আসব না। আরও কয়েকজন জানান, বিগত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও সময়মতো চিকিৎসক আসে না এবং চিকিৎসাসেবা ও কোনো পন্য ঠিকমতো পাচ্ছেনা।