দক্ষিন সুনামগঞ্জে পুলিশ-ছাত্রলীগ ধস্তাধস্তি
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ টান টান উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করেছে দক্ষিন সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি গ্রুপ। শুক্রবার সকাল থেকেই দুটি গ্রুপের মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ মিছিল ও সমাবেশ না করার জন্য নিষেধ প্রদান করে। কিন্তবিকেল ৫টায় পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি থানার সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। এসময় মিছিলটি উপজেলা সদরের শান্তিগঞ্জ বাজারস্থ যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধাঁর মুখে পড়ে। ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে কিছুটা ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে ।
এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কে বা কারা ছিড়ে ফেলে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শান্তিগঞ্জ বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ আবারো বাঁধা দেয় এবং পিছু নেয়। এ সময় দ্বিতীয় দফা পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কিছুটা লাঠিপেঠা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়।
অপরদিকে সন্ধ্যা ৬টায় দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের পুরাতন কমিটির সহ সভাপতি নুর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিনের নেতৃত্বে থানার সামনে থেকে পাল্টা আরো একটি মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের উপ গনযোগাযোগ সম্পাদক খসরু মিয়া,সহসভাপতি জেরিন,পাভেল আহমদ,দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক আল মামুন সোহেল,রাজন মিয়া,শাহিন মিয়া ও আজাদ মিয়া প্রমুখ। নুর হোসেন (পুরাতন কমিটি) নিজেদের কমিটিকে বৈধ বলে দাবী করেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিন সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমিন জানান, সকাল থেকে দুটি গ্র“পের মিছিল নিয়ে টান টান উত্তেজনার খবর শুনে ছাত্রলীগের দুটি গ্র“পের নেতাদের মিছিল না করার জন্য তিনি নিষেধ প্রদান করেন। তারপরেও নতুন কমিটির দাবীদার বদরুল আলম টিপু ও জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপনের নেতুত্বে পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিল করেন বলে জানান।
পুলিশ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলেছে ছাত্রলীগ নেতাদের এমন দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ওসি বলেন, পুলিশ কোন কারণে জাতির পিতা ও মানণীয়া প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলবে। ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীরা এই ছবিগুলো ছিড়ে ফেলে পুলিশের উপর দায় ছাপানোর চেষ্টা করছে।