“সুশাসন ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র বিমোচনে মুক্ত গণমাধ্যমের অবদান”
উত্তম কুমার পাল হিমেল
একটি দেশের শক্তিশালী ও কার্যকর শাসন ব্যবস্থার উপর দেশের সত্যিকার উন্নয়ন নির্ভর করে। জনগণকে ক্ষমতায় কাছাকাছি নিতে হলে শক্তিশালী একটি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নাই। আর জনগন যত বেশি ক্ষমতার কাছাকাছি থাকবে ততই তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির হবে। আর এ রকম একটি আদর্শ ব্যবস্থা তৈরি করতে হলে স্বশাষিত স্থানীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে নাগরিকের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়। দেশের সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করন,দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং সর্বপরি দারিদ্র বিমোচন করতে গণ মাধ্যম অপরিসীম ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই যে কোন দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সু-শাসন প্রতিষ্ঠা ক্ষমতার সুষ্ট ব্যবহার ও জনগষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনে মুক্ত গণমাধ্যম যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে আসছে।
সু-শাসন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ ও নীতিমালার ভিত্তিতে কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সকল দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ এবং টেক হোল্ডারদের মতামত এবং অংশ গ্রহনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এটি একটি পদ্ধতিগত শাসন ব্যবস্থা যেখানে আইনের শাসন গনতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চ্চা সুষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং জবাবদিহিতা মূলক প্রতিনিধিত্ব ও শাসন কাঠামো রয়েছে এবং যার মাধ্যমে সকলের সমান সুফল ভোগ করে প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করে। উন্নয়নের সুফলকে সঠিকভাবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌছে দিতে সমাজের প্রতিষ্টান এবং সংগঠন সু-শাসনের চর্চ্চা এবং প্রয়োগ একান্ত আব্যশক। সু-শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি গণের যোগ্য ও সুষ্ট নের্তৃত্ব প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উন্নয়নের ফলে সম্পদের সুষ্ঠ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। জবাবদিহিতা হচ্ছে সু-শাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম এবং প্রধান পূর্বশর্ত। শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বরং বেসরকারি সংস্থাসহ সমাজের বিভিন্ন সংগঠন গুলোকে সাধারণ জনগণের কাছে জবাব দিহিতা করতে হয়। কে কার কাছে জবাবদিহি করবে সেটা নির্ভর করে যে সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ গুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে বা বাইরে থেকে গ্রহণ করে তারউপর । সাধারনত সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান সমূহ তাদের নিকট বেশি দায়বদ্ধ যারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ সমূহ দ্ধারা প্রভাবিত । আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। কার্যকর জবাবদিহিতার দুইটি অংশ রয়েছে। যথাঃ-দায়বদ্ধতা এবং কাজের ফলাফল । যেকোন কাজের জবাবদিহিতা থাকা খুবই প্রয়োজন। একই ভাবে জবাবদিহিতা শক্তিশালী করার জন্য যে কোন কাজের সম্ভাব্য লক্ষ্য মাত্রা এবং ফলাফল থাকা আব্যশক। জবাবদিহিতা ছাড়া যে কোন কাজই সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তাছাড়া যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপক উন্নতির ফলে নাগরিক সমাজ অতি সহজেই তাদের সেবায় এবং সেবার মান সম্পর্কে মতামত প্রদান করতে পারেন। তাই জবাবদিহিতা এবং এ ধরনের ফিডব্যাক উপকারভোগী ও নাগরিক সমাজের জন্য মান সম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে কাজের দক্ষতা ও কার্যকারিতা থাকা প্রয়োজন। স্বচ্ছতা হল সু-শাসন প্রতিষ্ঠার আরেকটি অন্যতম স্তম্ভ। স্বচ্ছতা হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তার প্রয়োগ করা যা নিয়মকানুন মেনে চলে। এটাকে আবার অন্যভাবে বললে এর অর্থ দাড়ায় যে কোন গৃহীত সিদ্ধান্তের বা পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত হয় তাদের কাছে সব তথ্য উন্মুক্ত থাকবে ও সহজলভ্য হবে। সরবরাহকৃত তথ্য প্রাসঙ্গিক এবং প্রত্যেকের কাছে বোধগম্য হতে হবে। প্রত্যেকে জানে ও বলতে পারে এবং যা মিডিয়া বা গণমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে তার ও ব্যাখ্যা দিতে পারে। বিশ্বাসযোগ্য অনুমান ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আরেকটি সোপান। কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মী সেবা গ্রহীতা ও অন্যান্য ষ্টেক হোল্ডারদের কাছে প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচী, নীতিমালা কর্মপদ্বতি আদর্শ প্রভৃতি সম্পর্কে পূর্ব থেকেই একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকবে। যা প্রয়োগের মাধ্যমে সংশিষ্ট প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তিবর্গের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ধারনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। অংশগ্রহণ হল সুশাসন প্রতিষ্ঠর অন্যতম স্তম্ভ। কোন কাজে অংশগ্রহনের প্রয়োজন মুলত নির্ভরযোগ্য তথ্য ও কাজের সঠিকতা পাওয়া এবং কাজের মান নিরুপন করার জন্য । যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সব শ্রেণীর অংশ গ্রহনকারীদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা অথার্ৎ নারী এবং পুরুষ উভয়ের অংশ গ্রহণ হচ্ছে সুশাসনের অন্যতম ভিত্তি। অংশ গ্রহন সরাসরি বা বৈধ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ও হতে পারে। এটা নির্দিষ্ট করে বলা ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে,গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের কোন অর্থ বহন করবে না,যদি না বিপন্ন নাগরিক সমাজকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা না হয়। যে কোন বিষয়ে সংগঠিত এবং অবহিত হবার জন্য অংশগ্রহণ খুবই দরকার। অংশগ্রহণ কর্মদক্ষতা সেবাদানের মান নিরুপন এবং পরিবীক্ষণের ক্ষেত্রে ফিডব্যাক প্রদানের একটি অন্যতম উপায় হিসাবে কাজ করে।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্থানীয়ভাবে কিছু চ্যালেঞ্জ বা বাধাও অনেক সময় তাতে ব্যাঘাত ঘটায়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গুলো এলাকার উন্নয়ন নাগরিক সেবা প্রদান,এলাকার শালিস বিচার স্থানীয় পর্যায়ে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ও সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র আদেশ নির্দেশ দ্বারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গুলোর ভূমিকা ও দায়িত্ব নির্ধারিত হয়। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যগণ এসব দায়িত্ব সম্পাদনে ব্যাপক অবদান রাখেন। কিন্তু অর্পিত দায়িত্ব দক্ষ ও কার্য্যকরভাবে পালনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টান সমূহের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নানবিধ প্রতিকুলতা বা চ্যালেঞ্জের সন্মূখীন হতে হয়। স্থানীয় সু-শাসন প্রতিষ্টায় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা খুবই জরুরী। অন্যতায় নাগরিকসেবা প্রদান স্থানীয় উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টান সমূহের পক্ষে শক্তিশালী ও কার্য্যকর অবদান রাখা দূরহ বাপার হবে।
যে প্রক্রিয়ায় সকল অসমতা ও বৈষম্য দূর করে সকলক্ষেত্রে সমকক্ষতায় সামাজিকভাবে প্রতিষ্টিত করে তাই ক্ষমতায়ন। ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার উৎস ও কাঠামোর পরিবর্তন। অথ্যাৎ যে সকল কাঠামো ও প্রতিষ্টান নারীর অধঃস্তনতা ও অসমতাকে টিকিয়ে রাখে তার পরিবর্তন আনা এবং বস্তুগত ও তথ্যগত সম্পদের সুযোগ লাভ। মূলত ক্ষমতায়ন হল কোন ব্যক্তি,প্রতিষ্টান বা সর্বোপরি কোন দেশের রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারীর উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সুন্দর ও সুষ্টভাবে প্রতিপালন করা। কোন ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটলে ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও ব্যাঘাত ঘটবে। তাই ক্ষমতায়ন সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে মুক্তগণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে। কোন দেশ বা রাষ্টের দ্বারা পরিচালিত কর্মকান্ডের কোন গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনার ক্ষেত্রে ও মুক্ত গণমাধ্যম যুগান্তকারী অবদান রাখছে। দেশের দারিদ্র বিমোচনেও দেশের মুক্ত গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে। দরিদ্র জনসাধারনের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে সরকার প্রদত্ত ভিজিএফ কর্মসূচী,ভিজিডি কর্মসূচী,গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচী(কাবিখা),গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষন(টিআর)কর্মসূচী, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী,বয়স্কভাতা কর্মসূচী,দরিদ্র মার জন্য মার্তৃকালীন ভাতা কর্মসূচী,নির্যাতিত দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যান তহবিল কর্মসূচী,অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা প্রদান কর্মসূচী,এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পূর্নবাসন কর্মসূচী,মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা কর্মসূচী,ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ঋন কর্মসূচীসহ দারিদ্র বিমোচনের জন্য গৃহীত সকল প্রকার পদক্ষেপ জনসাধারনের মধ্যে পৌছে দেওয়া ও জনসচেতনা সৃষ্টি করার জন্য দেশের প্রিন্ট্র মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে। এসব অজানা তথ্য প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগোষ্টি তাদের ন্যায্য অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে ধারনা নিতে সক্ষম হয় সহজেই। দেশের দারিদ্র বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা(এনজিও) সমূহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে কাজ করছে। ১৯৭৩ সালে নাইরোবিতে বিশ্ব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভার ভাষান দিতে গিয়ে ম্যাকনামার প্রথম এনজিও/উন্নয়ন সংস্থা জাতীয় বিকল্প গ্রামীন প্রতিষ্টান ও সংগঠন সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তার সঙ্গে একমত পোষন করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি)।তবে এশিয়ার দেশগুলোতে গ্রাম ও শহরের গরীব ও দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে নানভাবে সেচ্ছাসেবামূলক কাজের সুদীর্ঘকাল ঐতিহ্য রয়েছে। যেমন ভারতের সর্বোদয় বা গান্ধীবাদী আন্দোলন পিলিপাইনের জনগনের গ্রামীন পূর্নগঠন আন্দোলন কোরিয়ার সায়ে মেইল আন্দোলন প্রভৃতি। আমাদের দেশেরও নানভাবে জনগনের নিজস্ব উদ্যোগ ছিল। এসব আন্দোলনের কর্মীরা স্থানীয় মানুষদের সাথে সম্পর্ক রাখে এবং গরীব ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্টীর দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য মতাদর্শগতভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করে। গ্রামীন অর্থনৈতিক বিকাশ ও দারিদ্র বিমোচনে ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যগুলো পূরন করতে অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভুমিকা অনেক বেশি কার্যকর বলে প্রতিয়মান আছে। দেশের সুশাসন প্রতিষ্টা, ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র বিমোচনসহ সকল স্তরে সরকারকে জবাব দিহিতার জায়গায় নিতে মিডিয়ার একটি অন্যতম ভূমিকা রয়েছে । সরকারের প্রদও সকল কার্যক্রমে জনগনের অংশগ্রহন আছে কিনা সেটা গনমাধ্যমে দেখতে পারে। সরকারের অনেক আইন বা বিধি সম্পর্কে জনগন কিছুই জানেন না, হয়তো অনেক সরকারী কর্মকর্তা এবং চেয়ারম্যান / সদস্যগন ও সে সম্পর্কে জানতেন না। আর সে সব না জানা বিষয়গুলো মিডিয়া সহজেই মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারে। সরকারের কোন স্তরে কোন কাজে জনগনের জন্য কতটুক জায়গা আছে সেটা নিয়ে বিস্তর কাজ করার সুযোগ আছে গনমাধ্যাম কর্মীদের। কোন কোন ক্ষেএে অনেক অজানা তথ্যের মোড়ক উন্মোচন করে অনুসন্ধানী মুলক সাংবাদিকতা করার ও রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্টা ক্ষমতায়নের সুষ্ট প্রয়োগ দারিদ্র বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুক্ত গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার(এমএমসি)দীর্ঘদিন যাবত দেশের স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সভা,মতবিনিময়,প্রশিক্ষন কাজ পরিচালনা করে আসছে। আর এসব কর্মকান্ড জনসাধারনের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের নিয়ে স্থানীয় সরকার সাংবাদিক ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এই ফোরাম দেশের শক্তিশালী সরকার ব্যবস্থা,সুশাসন প্রতিষ্টা ও ক্ষমতার সুষ্ট প্রয়োগ ও দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে। তাদের এই কার্য্যক্রম অব্যাহত এবং মুক্ত গণমাধ্যম ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্টা ও ক্ষমতায়নের সুষ্ট প্রয়োগ দারিদ্র বিমোচনপূর্বক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আরো একটি সমৃদ্ধশালী মডেল রাষ্টে পরিনত হবে। এই হউক আজ ৩রা মে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসে আমাদের সকলের কাংখিত প্রত্যাশা।
লেখকঃ উত্তম কুমার পাল হিমেল,
সাধারন সম্পাদক
নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব,নবীগঞ্জ,হবিগঞ্জ।