শিক্ষিকাদের সাথে সেক্স করতে ছাত্রদের বাধ্য করা হয় যেখানে !
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আমরা শিক্ষকের সাথে ছাত্রী প্রণয় অনেক শুনেছি। কিন্তু ছাত্রের সাথে শিক্ষিকার প্রণয় খুব কমই শোনা যায় । আবার যদি তা হয় বিবাহিত শিক্ষিকা । ১৭ বছরের এক ছাত্রের সাথে গড়ে উঠেছে ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষিকার প্রণয়। শুনতে কাল্পনিক কাহিনীর মত শুনালেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে খোদ স্কটল্যান্ডে।
গ্যারি রালস্টনের শিক্ষিকা ছিলেন স্মিথ বের্নাদেত। প্রায় পাঁচবছর স্মিথের কাছেই লেখাপড়া করেছিলেন গ্যারি। কিন্তু একসময় সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে পরিণয়ে রূপ পায়। বিশেষত নতুন করে যখন গ্যারিকে পড়াতে আসতে থাকেন স্মিথ।
গ্যারির মতে, “অনেক ছেলেই তার প্রতি দুর্বল ছিল। সেক্ষেত্রে আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান।” তিনি আরও বলেন, “ষষ্ঠ গ্রেড থেকেই স্মিথের ক্লাস আমি পাইনি। কিন্তু আমরা করিডোর দিয়ে পরস্পরকে দেখতাম। সৌজন্য তার হাসি দেখিয়েই কেটে পড়তাম। এরপরই গ্যারিকে একদিন পেয়ে বসেন শিক্ষিকা স্মিথ। তিনি গ্যারিকে জানালেন সারাদিন ধরে তাকে খুঁজে বেড়ানোর কথা।
সেইসাথে গ্যারির প্রতি নিজের অনুভূতির কথাও জানান স্মিথ।দুইজনের নতুন করে পড়ালেখার কার্যক্রম শুরু হলে কাছে আসার সুযোগ বেড়ে যায়। আর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে গ্যারিকে ফালকক্রিক পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান স্মিথ। একসময় গাড়িতে ছাত্রকে রোমান্টিক চুমুও খেয়ে বসেন বিবাহিত শিক্ষিকা। গ্যারি এ সময় স্মিথের স্বামী, সন্তান ও চাকরীর কথা ভেবে বেশ ভয় পাচ্ছিলেন। ‘কিন্তু ওকে তেমন চিন্তিত দেখায়নি।’ এমনটাই জানান কিশোর গ্যারি।
একসময় গ্যারির বাবাও বিষয়টি জানতে পারেন। ছেলেকে এ বিষয়ে সতর্কও করে দেন। তবে গ্যারির বাবার মতে, “স্কটল্যান্ডে ১৬তেই সবাই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়। তাই আমি বেশি হস্তক্ষেপ করিনি। তাছাড়া আমি চাই ও ভুল থেকে শিক্ষা ও সিদ্ধান্ত নেয়া শিখুক।” কিন্তু গেরির দাদিমা বিষয়টিকে হালকাভাবে নেননি। বানকবার্ন হাইস্কুলে তিনি স্মিথ বের্নাদেতের নামে অভিযোগ করেন।
সাথেসাথেই বরখাস্ত করা হয় স্মিথকে। নিজেদের সম্পর্ক সবাই জেনে গেলেও পরবর্তী একরাত একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় এই অসম জুটি। তাও আবার গেরির বাড়িতেই। এ বিষয়ে গেরি বলেন, “আমরা বিছানায় যেতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগ কাজ করছিল। একসময় বিছানায় আমরা বিবস্ত্র হলেও গল্প আর আলিঙ্গন করেই রাত কাটিয়েছি। সে রাতে তেমন কিছু হয়নি।”
স্মিথকে অবশ্য ছেড়ে দেয়নি স্কটল্যান্ড আদালত। তার বিরুদ্ধে কোমলমতি শিক্ষার্থীর সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। আদালতের মতে গ্যারি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির শিকার হয়েছেন। প্রসিকিউটর অ্যান ও’র জানিয়েছেন, স্মিথ ওই বালকের সাথে প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা একসাথে থাকতে চান বলেও জানিয়েছেন।
স্মিথ স্বীকার করেছেন গ্যারিকে চুমু খাওয়া ও তার বাড়িতে থাকার বিষয়টিও। এসব কারণে স্মিথ বের্নাদেতকে দুই বছরের জন্য নজরদারির আদেশ দেয়া হয়েছে। বস্তুত যৌন নিপীড়কদেরও সমপর্যায়ের শাস্তি দেয়া হয়। স্মিথের মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত শেরিফ রবার্টসন বলেন, “যখন কোন শিক্ষক তার ছাত্রের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ান তখন সেটা অবশ্যই মারাত্মক বিষয়।