মুসলিম সাহিত্য সংসদের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা
যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই লক্ষ্যে পৌছার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে
——মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, এখনো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি। যে লক্ষ্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই লক্ষ্যে আমরা পৌছতে পারিনি। তাই সেই লক্ষ্যে পৌছার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। দেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি দেশের নাগরিককে শপথ নিতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি সুন্দর দেশ উপহার দিতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গত বুধবার নগরীর দরগাহ গেইটস্থ দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় সাহিত্য সংসদের বইমেলা মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক গবেষক আবদুল হামিদ মানিক। সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল-এর পরিচালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, এহিয়া রেজা চৌধুরী, স্কলার্স হোম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) জুবায়ের সিদ্দিকী। মাহদী হাসান মিনহাজ-এর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ আরো বলেন, দেশের প্রতি প্রত্যেকের দরদ থাকতে হবে। আমাদের দেশ এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত। যদি আমরা আরো ঐক্যবদ্ধ হতে পারতাম তবে এরচেয়ে আরো উন্নত হতে পারতো। জ্ঞানী-গুনী, আলিম সমাজসহ সকল সমাজকে সাথে নিয়ে বর্তমান সরকার একটি শিক্ষা নীতি করেছেন। যার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, একাত্তরের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের নিরপরাধ মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। হানাদারদেরকে নিজের জীবন দিয়ে প্রতিহত করেছিল আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের এই আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। সর্বোপরি নিজেদের ভালোবাসার সাথে এই দেশটাকে যুক্ত করতে হবে। দেশটাকে নিঃস্বার্থ ও অকৃত্রিম ভালোবাসলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
এহিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, আমাদের কাংখিত স্বাধীনতা আমরা পাইনি। সবার দৃষ্টিভঙ্গি এখন কিভাবে রাতারাতি বড়লোক হওয়া যায়। এই মানসিকতা ছেড়ে সকলকে হালাল খেতে হবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বাস করতে পারছি। তারা নিঃসন্দেহে এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়াও আমাদের গণতন্ত্রের মুক্তি হয়নি।। গণতন্ত্রের মুক্তি হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সত্যিকার অর্থে সফল হবে।
ুুসভাপতির বক্তব্যে হারুনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধিদেরকে এখনো ক্ষমা করিনি। আমাদের যথেষ্ট অর্জন আছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের প্রাপ্তি হয়নি। গণতন্ত্র আমাদের বিভিন্ন নামে প্রচলিত রয়েছে। এর ফলে গণতন্ত্র নিষ্পেষিত হয়েছে। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।