লম্পট শিক্ষক : অন্তসত্বা মাদ্রাসা ছাত্রী : আঢ়াই লাখ টাকায় দফা!
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বেনাপোলের পৌর মেয়রের বিচারে অন্তসত্বা মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারকে আঢ়াই লক্ষ টাকা দিয়ে রেহাই পেল লম্পট কলেজ শিক্ষক। এ ঘটনাই এলাকা জুড়ে ছি ছি রব উঠেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বেনাপোলের পোড়াবাড়ি নারায়নপুর গ্রামের জৈনক ব্যক্তির মাদ্রাসা পড়–য়া কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কাজ করে আসছে বেনাপোল কলেজের শিক্ষক এস এম শফিকুল ইসলাম। ফলে মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তসত্বা হয়ে পড়ে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আর এ অভিযোগ থেকে বাচতে বেনাপোল কলেজের শিক্ষক এস এম শফিকুল ইসলাম গাঁ ঢাকা দেয়।
লম্পট শিক্ষক এসএস শফিকুল ইসলাম এ ঘটনার দায় থেকে রেহাই পেতে ঐ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে থকে। এতেও নিজেকে রক্ষা করতে না পেরে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের আশ্রয় নেয় লম্পট শিক্ষক এসএস শফিকুল ইসলাম। মেয়র প্রতারনার শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে ডেকে আঢ়াই লক্ষ টাকা বিনিময়ে ঘটনাটি নিস্পত্বি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এতেই রেহাই পেল লম্পট শিক্ষক এসএস শফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের কাছে সোমবার রাত ৯টা ৩৮মিনিটে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অবস্য রাত ৯টা ৪১মিনিটে তিনি আমার ফোনে কল করেন ব্যস্ততা থাকার ফলে ফোনটি রিসিভ করা হযনি। পরক্ষনে ৯টা ৪৬মিনিটে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শুনেছি এবং জানতে পেরেছি মেয়র বিষয়টি নিস্পত্বি করেছেন আঢ়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শফিকুল ইসলামের স্ত্রী স্থানীয় পোড়াবাড়ি নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও এক সন্তানের জননী। শফিকুলের স্ত্রীর স্কুলে থাকার সুযোগে তারই প্রতিবেশীর মেয়ে স্থানীয় মাস্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে শফিকুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু লম্পট শফিকুল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতী জানালে মেয়েটি তার অভিভাবকদের জানায়। লম্পট শিক্ষক এসএম শফিকুল ইসলাম বেনাপোল কলেজের প্রভাষক ও পোড়াবাড়ি নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা। ছবি : প্রতিকী