কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের ব্যালট বাক্স ছিনতাই : এরপরও আশিক চৌধুরী নির্বাচিত
দিনের শেষে সংঘর্ষ, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কানাইঘাট প্রতিনিধি: বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মধ্যে দিয়ে ৪র্থ দফায় অনুষ্ঠিত কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দিনের প্রথম ভাগে ভোটারদের কম উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন হলেও শেষের দিকে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ ১৫-২০জন আহত হন। নির্বাচনের রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ৬৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬টি কেন্দ্রের বেসরকারী ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত আশিক উদ্দিন চৌধুরী মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৫শ ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নিজাম উদ্দিন আল-মিজান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২১ হাজার ২শ ৭৪ ভোট পান। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমিয়ত নেতা মাওঃ আলীম উদ্দিন চশমা প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ৭শ ৬২ পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ সমর্থিত জাহাঙ্গীর আলম রানা ২২ হাজার ৫শ ৩৩ ভোট পেয়েছেন। পৌরসভার শিবনগর দারুল ক্বোরআন মাদ্রাসা কেন্দ্রের একটি বুথ থেকে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার ৫ মিনিট পর ব্যালট পেপার ভর্তিসহ একটি ব্যালট বাক্স দুর্বৃত্তরা ছিনিয়ে নেওয়ায় উক্ত কেন্দ্রের ফলাফল বন্ধ ঘোষণা করে সহকারী রিটার্নিং অফিসার তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া। উক্ত কেন্দ্রের ভোট সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ টি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত মোছাঃ মরিয়ম বেগম পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ২শ ৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুবি রাণী চন্দ কলস প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৭শ ২৮ ভোট। রাতে ভাইস চেয়ারম্যানের ফলাফলকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মাইক মার্কা ও চশমা মার্কার সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিবনগর কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে স্থানীয় শ্রীপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা আবুল বাশারের পিতা ছমছুদ্দিন লোদাই ও একই গ্রামের মুফিজুর রহমানের পুত্র হারুন কে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে বিকেল ৫টার দিকে ডিবির ওসি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত ব্যালট বাক্সটি শ্রীপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের বাড়ীর পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এছাড়া রায়গড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্ট ও সমর্থকদের মধ্যে মারামারি সময় ছবি তুলতে গিয়ে মোহনা টিভির ক্যামেরাম্যান ফেরদাউস গুরুতর আহত হন। ঘোড়া মার্কার সমর্থকরা তার মাথা থেতলে দেয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।