স্ত্রীর মামলায় কণ্ঠশিল্পী রুমি ফের কারাগারে
প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জামিনের শর্ত পূরণ না করায় রুমির জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে জামিয়েছেন অনন্যার আইনজীবী আরিফ উদ্দিন। তিনি জানান, রুমি অনন্যার নামে ২০ লাখ টাকার এফডিআর ও প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা ভরনপোষণ দেয়াসহ ৭টি শর্তে সিএমএম আদালত থেকে গত বছর ১৩ অক্টোবর জামিন পান।
কিন্তু সে একটি শর্তও পূরণ না করায় বৃহস্পতিবার তার জামিন বাতিল করতে আবেদন করা হয়। সে অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল রুমির জামিন আবেদন নাকচ করে জামিন বাতিল করেছেন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুর থানায় করা ওই মামলায় ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর রুমি মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এর নিজ বাসা থেকে ভাই এস এম ইয়াসিন রনিসহ গ্রেপ্তার হন। ওইদিন তাদের আদালতে পাঠানো হলে সিএমএম আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরদিন ৭টি শর্ত পূরণ করবে মর্মে হলফনামা দিয়ে জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটিতে পুলিশ আদালতে রুমির ভাই ইয়াসিন রনি ও মা নাসিমা বেগম রোজি কে অব্যাহতি দিয়ে শুধু রুমিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট হওয়ার পরই মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য বদলি হয়ে আসে। মামলার অভিযেগে বলা হয়, রুমি ২০০৮ সালের ৪ এপ্রিল অনন্যাকে বিয়ে পর তাদের সংসারে আরিয়ান (৩) নামে এক ছেলে সন্তান হয়।
এরপর ২০১২ সালে সে আমেরিকা প্রবাসী কামরুন নেসাকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের কিছুদিন পর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং ছেলে ও প্রথম স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দেয়া বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি সে অ্যামেরিকা থেকে এসে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার বড় ভাই ও মাসহ নির্যাতন করে অনন্যাকে। উল্লেখ্য, রুমি প্রথমে জিঙ্গেলশিল্পী হিসেবে নিজের মিউজিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর অল্প সময়েই একজন শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। এ পর্যন্ত তার সুর ও সঙ্গীতে ২০টিরও বেশি অ্যালবাম বাজারে এসেছে। তার প্রথম একক অ্যালবাম বেরিয়েছিল তার নিজের নামেই ২০০৮ সালে। ‘আরফিন রুমি’ শীর্ষক প্রথম এ অ্যালবামটির ব্যাপক সাফল্যের পর ২০০৯ সালে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় একক ‘এসো না। তৃতীয়টি ভালোবাসি তোমায় এসেছে ২০১২ সালে।