৮ বল বাকি রেখে ৪ উইকেটে জয় টাইগারদের
স্পোর্টস ডেস্কঃ ৮ বল বাকি রেখে জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। আর এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
১৬৪ রানের টার্গেট পেয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের। দলীয় ৩১ রানে সৌম্য সরকার রানআউটের শিকার হওয়ার পর তামিম ইকবাল সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বাঁধেন। তবে দলীয় স্কোর ৫৮-এ পৌঁছানোর পর তামিম হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হন ক্রেমারের বলে। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তামিম। ক্রিজে আসা অভিষিক্ত শুভাগত হোম কোনো কিছু বোঝার আগেই ৬ রানে আউট হন।
দলীয় ৭৪ রানে শুভাগতের বিদায়ের পর সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম জুটি বাঁধেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান যোগ করেন তারা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বিশাল ছক্কায় গ্যালারির দর্শকদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাসের সুযোগ করে দেন সাব্বির। কিন্তু পরের বলেই আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৪৬ রানে। ৩৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় মারকুটে এ ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। সাব্বিরের পর মুশফিক (২৬) ও মাহমুদউল্লাহ (৭) দ্রুতই বিদায় নেন।
ক্রিজে থাকা সাকিব অভিষিক্ত নুরুল হাসানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সাকিব ২০ ও নুরুল হাসান ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব শেষ দিকে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খুলনার দর্শকদের উল্লাস দ্বিগুণ করে দেন। তবে একটু আক্ষেপ করতেই পারেন সাকিব। উইনিং শটটা তার খেলাই হয়নি। বোলার লুক জংউই ওয়াইড ও চার রান দিয়ে বাংলাদেশকে নিজ থেকেই জিতিয়ে দেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বিনা উইকেটে ৭১ বলে শতরান পেরিয়ে বড় স্কোরের পথে এগোতে থাকে অতিথীরা। দুই ওপেনার ভুসি সিবান্দা ও হ্যামিলটন মাসাদাকাদজা বেশ দ্রুত রান তুলে নেন। ১১তম ওভারের শেষ বলে ভয়ঙ্কর ওঠে ওঠা এ জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান।
নিজের প্রথম ওভারে ১৫ রান খরচ করা সাকিব তৃতীয় ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ১৩ রান খরচ করেন। তবে শেষ বলে সিবান্দাকে আউট করে প্রতিশোধও নেন। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থেকে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন সিবান্দা। সতীর্থের বিদায়ের পরও ব্যাট হাতে দারুণ খেলে যান হ্যামিলটন মাসাকাদজা। এ সময়ে তুলে নেন তার নবম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি।
তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ১৪ রান যোগ করেন ম্যালকম ওয়ালার। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যানই রান আউটের শিকার হন। দলীয় ১২৭ রানে ওয়ালার সাব্বির ও অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আউট হন। আর মাসাকাদজাকে একাই আউট করেন নুরুল হাসান। ৫৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় মাসাকাদজার ইনিংসটি থেমে যায় ৭৯ রানে। এরপর তো বাংলাদেশি বোলারদের সামনে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে দল।
মুস্তাফিজ ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান এল্টন চিগুম্বুরা ও লুক জংউইকে। শেষ ওভারে সিকান্দার রাজা ও শেন উইলিয়ামসকে ফেরানোর দায়িত্ব নেন আল-আমিন হোসেন। শেষ পর্যন্ত মিডল অর্ডার ও লেট অর্ডারের ব্যর্থতায় কুড়িয়ে-কুড়িয়ে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। তবুও জয়টা শেষ পর্যন্ত অধরাই থেকে যায় তাদের।