সিলেট বিভাগের ৪৬ ইউপিতে ভোট আজ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা

1স্টাফ রিপোর্টার :: দলীয় প্রতীকে দ্বিতীয় ধাপের আজ সিলেট বিভাগের ৪৬টি ইউনিয়নে ভোটের লাড়াই হবে। এবার অধিকাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করেছে প্রশাসন। তবে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত থেকেই সবকটি ইউনিয়নে ব্যাপক নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে। মাঠে পুলিশের সাথে র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, মোবাইল টিম ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আজকের নির্বাচনে তারা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্তায় থাকবেন। নির্বাচন নির্বিঘœ করতে সব ধরণের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গতকাল সকাল থেকেই সবকটি কেন্দ্রে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপার, স্টাম্পপ্যাডসহ যাকতিয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এখন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন দায়িত্বশীলরা।
যে ৬ উপজেলা আজ নির্বাচন হবে সেগুলো হচ্ছে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও হবিগঞ্জ জেলার আজমীরিগঞ্জ। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭ ইউনিয়ন রুস্তমপুর, পশ্চিম জাফলং, পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, ফতেপুর, নন্দরিগাঁও, তোয়াকুল ও কেম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পশ্চিম ইসলামপুর, পূর্ব ইসলামপুর, তেলিখাল, ইছাকলস, উত্তর রনিখাই, দক্ষিণ রনিখাই, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন বড়লেখা, বর্ণি, দক্ষিণ শাহবাজপুর, দক্ষিণভাগ (দক্ষিণ), দাসের বাজার, নিজ বাহাদুরপুর, সুজানগর, দক্ষিণভাগ (উত্তর), উত্তর শাহবাজপুর, তালিমপুর। জুড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী, সাগরনাল, পূর্বজুড়ী, জাফরননগর, পশ্চিমজুড়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছাতক, চরমহল্লা, ইসলামপুর, কলারোকা, নোয়ারই, খুরমা (উত্তর), ভাত গাঁও, দোলার বাজার, খুরমা (দক্ষিণ), জাউয়াবাজার, সৈদেরগাঁও, ছৈলা আফজালাবাদ, সিংচাপইড় এবং হবিগঞ্জের আজমীরীগঞ্জ উপজেলার আজমিরীগঞ্জ, বদলপুর, জলসুখা, কালাইলছিও, শিবপাশা ইউনিয়নে একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গোয়াইনঘাট: আমাদের প্রতিনিধি জাকির হোসেন জানান, উপজেলায় রাত পোহালেই ভোট উৎসব শুরু হবে সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাটের ৭ ইউনিয়নে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সকল প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। নির্বাচন ঘিরে উৎসবের পাশপাশি শঙ্কাও বিরাজ করছে কিছু কিছু এলাকায়। ৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৬জন। ৬৩ বিভক্ত ওয়ার্ড সমুহে রয়েছে ৭১টি ভোট কেন্দ্র। এসব ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ঝুকিপুর্ন রয়েছে অন্তত ৩৭টি কেন্দ্র। তবে প্রশাসনের চোখে এসব ভোট কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপুর্ন হিসাবে গণ্য।
গোয়াইনঘাট অফিসার ইনচার্জ মো. দেলওয়ার হোসেন জানান, মোট ৭১টি ভোট কেন্দ্রকে ৩ স্তরে ভাগ করে নিরাপত্তা বিন্যাস তৈরী করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ্১৭টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৭টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসাবে গণ্য করে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যুহ। নির্বাচনে ৭০০ পুলিশ, পর্যাপ্ত পরিমাণ র‌্যাব মোবাইল টিম, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে বিজিবি টিম নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও ভোট কেন্দ্র সমুহের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ১জন জুডিশিযাল ও ৮জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাটের নেতৃতে সবকটি ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ: উপজেলার ছয়টি ইউপিতে আজ  ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ছয়টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় প্রতীক বঞ্চিত অনেক প্রার্থীই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এতে করে অনেকটাই বিপাকে পরতে পারেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদেরকে এমনটা মনে করছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন মাত্র ২ জন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা ১০। এতে নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পরার শংকা রয়েছে বলে মত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেশি থাকায় একাট্টা হয়ে কাজ করলে ফসল ঘরে আনা যাবে বলে মনে করছেন বিএনপির তৃনমুলের কর্মীরা। যতটা সম্ভব সুযোগ কাছে লাগাতে তাই প্রচার প্রচারণার শেষ সময় পার করেছেন তারা। উপজেলার তেলিখাল ও ইছাকলস ইউপিতে বিএনপি কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই দলটির সাথে সংশ্লিষ্ট ২জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপরই ভরসা করছে বিএনপি।
পশ্চিম ইসলামপুর ইউপির নির্বাচনে নজরুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এ ইউপিতে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এখলাছুর রহমান। পূর্ব ইসলামপুর ইউপিতে রয়েছে বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী তাজ উদ্দিন আহমদ এর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী মনির উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে বিএনপির প্রার্থী মো.নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে  বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এখলাছুর রহমান। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.জামাল উদ্দিনের বিপরীতে এই ইউপিতেই দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে ৪ জন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির শামছু মিয়া চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এন এম মহিউদ্দিন আল মামুন, সতন্ত্র প্রার্থী মো. জাফরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় গত শুক্রবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় বহিস্কার করা হয়েছে এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের।
পূর্ব ইসলামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.আলী আমজাদ, বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াছুর রহমান, বিএনপির তাজ উদ্দিন আহমদ, দলটির  বিদ্রোহী প্রার্থী মনির উদ্দিন ও সতন্ত্র প্রার্থী মো.বাবুল মিয়া চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তেলিখাল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আপ্তাব আলী ওরফে কালা মিয়া, দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী এ ইউনিয়নে রয়েছেন আবদুল হক ও কাজী আবদুল আদুদ আলফু মিয়া, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রিয়াজ উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইছাকলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একলাসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.কুটি মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইউপিটিতে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই।
উত্তর রণিখাই ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী জালাল মিয়া, বিদ্রোহী প্রার্থী ফরিদ মিয়া, বিএনপির আবদুল মালিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দক্ষিণ রণিখাই ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাসিম, বিদ্রোহী মো.সিদ্দিকুর রহমান রোকন ও এম এ হান্নান, বিএনপির প্রার্থী মো.আব্দুছ ছোবহান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ বাবলু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ছাতক: আমাদের প্রতিনিধি বিজয় রায় জানান, ছাতকের ১৩টি ইউনিয়ন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের হাতে যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম আনুষ্টানিকভাবে তুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই নির্বাচনী মালামাল গ্রহন করে সংশ্লিষ্টরা যার-যার গন্তব্যে পৌছে গেছেন। নির্বাচন ঘিরে বুধবার উপজেলা চত্ত্বর ও শহর এলাকায় বিরাজ করছিল অন্যরকম এক উৎসবমুখর পরিবেশ। ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল মাঠে তৈরী করা মঞ্চ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এক-এক করে নির্বাচন কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের গাড়ি বরাদ্ধ দেয়া হয়।
বিশাল মাঠ জুড়ে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করার জন্য দেড়শতাধিক গাড়ি। উপজেলা মিলনায়তন থেকে মাইক যোগে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রের নির্বাচনী যাবতীয় সরঞ্জাম প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের মাঝে বিতরন করার বিষয়টি ছিল এক ধরনের ভিন্ন নির্বাচনী আমেজ। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তত আনসার, পুলিশ ও মহিলা আনসারদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে উপজেলা চত্ত্বর। নিয়োগ প্রাপ্ত ৭জন রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনী কাজে বুধবার সারা দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
ছাতকে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৫জন, সংরক্ষিত আসনে ১২৩জন ও সাধারন সদস্য পদে ৫১৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট প্রার্থী হয়েছেন ৭০৭জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যানসহ ১৬৯জন প্রার্থী বিজয়ী হবেন।
এদিকে র‌্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের বিশেষ টিম শহরে টহল দিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি জানান দিয়েছেন। চারস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত ও ষ্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়মিত মোবিং করবে প্রতিটি ইউনিয়নের কেন্দ্রে-কেন্দ্রে। গত বুধবার নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক বিশেষ সভায় এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুবুর রহমান জানান, সুষ্ট নির্বাচন সম্পন্নে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যথা সময়ে নির্বাচনী মালামাল সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তরসহ কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে। সুষ্ট, অবাধ ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বড়লেখা ও জুড়ী : আমাদের প্রতিনিধি জানান, দ্বিতীয় ধাপে আজ ৩১ মার্চের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মোট ১৪০ ভোট কেন্দ্রের ৯৮ কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ভোট বাক্স ছিনতাইর আশংকা রয়েছে। উপজেলার সদর ও দক্ষিণভাগ (দ:) ইউনয়িনের সবগুলো কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৪টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে সেগুলোতে সুষ্ঠ ও শাপিূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে দক্ষিণভাগ (দ:) ইউনিয়নের দোহালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাংকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিণভাগ (উ:) ইউনিয়নের কাঁঠালতলী উচ্চ বিদ্যালয়, রোকনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুকারপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়খলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সদর ইউনিয়নের ছোটলেখা দক্ষিণভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহদিকোনা, বিছরাবাজার, গঙ্গারজল, মুছেগুল, কেছরীগুল, উত্তর ডিমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ৮, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে ৮, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে ৮, সুজানগরে ৮, তালিমপুর ইউনিয়নে ৭, বর্নি ইউনিয়নের ৬, দাসেরবাজার ইউনিয়নে ৫ কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে জুড়ীতে ৫টি ইউনিয়নে ৪৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৪ টি ভোট কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূণ রয়েছে।