সিলেটে সাংবাদিক অপহরণ মামলায় তাঁতীলীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

3স্টাফ রিপোর্টার :: সাংবাদিক অপহরণ মামলায় তাঁতীলীগ নেতাসহ ৫জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই হালিমা আক্তার  সিলেট মেট্রোপলিটন ১ম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হচ্ছেন, নগরীর বাগবাড়িস্থ ২৩ সিটি হোমসের মৃত এসহাক গাজীর পুত্র ও সিলেট মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি বাদশা গাজী, তাঁর ভাই শরীফ গাজী, নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ২/১০মিতালী ম্যানশনের মো. শাহ আলমের ছেলে এসএম শরীফুল আলম তুহিন, গোলাপগঞ্জের উত্তরবাগের মরহুম হাজি তজম্মুল আলীর পুত্র মো. সালাহ উদ্দিন, ও এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন ২১,জালালাবাদ-এর আব্দুস সালামের পুত্র শহীদুর রহমান সুমন।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৫জুন বিকেলে নগরীর সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে অপহৃত হন দৈনিক আজকের পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক সবুজ সিলেট-এর স্টাফ রিপোর্টার কাইয়ুম উল্লাস। বাদশা গাজীসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলযোগে তাকে অপহরণ করে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ফরিদ প্লাজার একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে বেদম মারপিট করে তার নগদ টাকা ও মোবাইলফোন কেড়ে নেন। এসময় তাঁরা ৩টি জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক তার স্বাক্ষরও আদায় করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অনলাইন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ওরাস) নামীয় একটি সংগঠনের তহবিল ‘তছরুপ’ নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সাংবাদিক কাইয়ুম উল্লাস বাদি হয়ে আদালতের মাধ্যমে একটি অপহরণ মামলা সিলেট কোতোয়ালি থানায় প্রেরণ করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ গত বছরের ২সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করে। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় থানার এসআই হালিমা আক্তারকে। তদন্ত শেষে হালিমা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাদশা গাজীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩,৩৬৫,৩২৩,৩৭৯,৩০৭ ও ৩৮৬ ধারায় চার্জশিট প্রস্তুত করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তা কোর্ট পুলিশ অফিসে পাঠান। গতকাল বৃহস্পতিবারর্  চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত চার্জশিট পর্যালোচনা ও শুনানির জন্য আগামী ২২মে ধার্য করেছেন।
সিলেট সদর কোতোয়ালি জিআরও পিযুষ দে’ চার্জশিট দাখিল ও শুনানীর জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাদশা গাজী চার্জশিট দাখিলের কথা স্বীকার করে সংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। সিনিয়র কয়েকজন সাংবাদিকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপস নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।