ওসমানীনগরে শিক্ষিকার নির্যাতনে আহত ছাত্রী, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

1ডেস্ক রিপোর্ট :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এইচএসসি ২য় বর্ষের মডেল টেষ্ট পরীক্ষায় যাওয়ার পথে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে যাবার পথে রহিমপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামের আং মালেকের ছোট মেয়ে সালমা আক্তার, তার বড় ভাই আলমগীর, সহপাঠি সুফিয়া বেগম ও মর্জিনা আক্তার কালাছড়া গ্রাম থেকে সিএনজি করে ভানুগাছ রেল স্টেশন সিএনজি ষ্ট্যান্ডে নামে। সালমার বড় ভাই আলমগীর জানায়, ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কে তার কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশ্যে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভানুগাছ রেল স্টেশনে চলে যান। সালমার সহপাঠি সুফিয়া ও মর্জিনা জানান, সালমা সহ তারা তিনজন একসাথে মডেল টেস্ট পরিক্ষা দিতে ভানুগাছ বাজার থেকে পায়ে হেটে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে যাবার পথে ধলাই নদীর নতুন ব্রীজের সামনে গেলে কালো মুখোশদারী ৫/৬ জনের একদল লোক কালো মাইক্রোবাস যোগে এসে তাদের গতিরোধ করে এবং জোরপূর্ব্বক সালমাকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে শমশেরনগর রোডের দিকে চলে যায়। সালমার তার সহপাঠিরা ঘটনাটি কলেজ অধ্যক্ষকে জানান। খবর পেয়ে সালমার বড় ভাই ঢাকায় না গিয়ে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মিঞাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। অধ্যক্ষ বিষয়টি কমলগঞ্জ থানাকে অবহিত করেন। সালমাকে অনেক খোঁজা খুঁজির পর না পেয়ে তার বড়ভাই আলমগীর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় আলমগীর বাদী হয়ে তার বড় ভাইয়ের শ্যালক শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের বিছামনি নামক গ্রামের ফজল পাঠানের পুত্র নবাব পাঠান (২৪) কে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজহার দায়ের করেন।
সালমার বড় ভাই আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের শ্যালক নবাব পাঠান অনেক দিন ধরে আমার বোনকে উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালেও তারা তা কর্নপাত করেননি।