না ফেরার দেশে কবি রফিক আজাদ

rafi_105337_0ডেস্ক রিপোর্ট :: ‘ ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো’ ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় এই বিক্ষুব্ধ পঙ্ক্তিমালার রচয়িতা মুক্তিযোদ্ধা ও সম্পাদক কবি রফিক আজাদ আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শনিবার বেলা সোয়া দুটার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে কবির বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

কবি রফিক আজাদ দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের পর প্রায় দুই মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।

গত জানুয়ারিতে রফিক আজাদের ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ হলে তাকে প্রথমে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর তাকে আনা হয়েছিল বিএসএমএমই্উতে।

১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কবি রফিক আজাদ। তার বাবা সলিম উদ্দিন খান ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং মা রাবেয়া খান ছিলেন গৃহিণী। দুই ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। তারা ছিলেন তিন ভাই-দুই বোন।

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাবা মায়ের কঠিন শাসন উপেক্ষা করে তিনি ভাষা শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন।

রফিক আজাদ ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান। এছাড়া সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ুন কবির স্মৃতি (লেখক শিবির) পুরস্কারসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান।

তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্য রয়েছে- সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া, পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি, প্রেমের কবিতাসমগ্র, বর্ষণে আনন্দে যাও মানূষের কাছে, বিরিশিরি পর্ব, রফিক আজাদ শ্রেষ্ঠকবিতা, রফিক আজাদ কবিতাসমগ্র, হৃদয়ের কী বা দোষ, কোনো খেদ নেই, প্রিয় শাড়িগুলো প্রভৃতি।