ছোট্ট পুঁজিতে বিশাল জয় বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্কঃ পুঁজি ছিল মাত্র ১৩৩, কিন্তু জয়ের ব্যবধান ৫১- ভাবা যায়! ঠিক তাই হয়েছে। বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে বিশাল ব্যবধানে। আরব আমিরাত অলআউট হয় মাত্র ৮২ রানে।
আমিরাতের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই মোহাম্মদ কলিমকে ফিরিয়ে দেন আল আমিন হোসেন। দলীয় ২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আমিরাত। আগে দু’দফা জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রোহান মুস্তফা। দ্বিতীয়বার নিজের বলে নিজেই আসাধারণ ক্যাচ ধরেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় সে দফায় বেঁচে যান মুস্তফা। তবে মাশরাফিকে উঁচিয়ে মারতে গিয়ে সেই মুস্তাফিজের তালুবন্দি হন রোহান মুস্তফা। আউট হবার অাগে ১৮ রান করেছিলেন মুস্তফা।
ষষ্ঠ ওভারে আমিরাতকে আরেক ধাক্কা দেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মতুর্জা। সাইমন আনোয়ারকে মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ ক্যাচে পরিণত করেন। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ শাহজাদকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
পরের বলে আবার আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। সন্দীপ পাতিলকে মাশরাফির ক্যাচে পরিণত করেন এই বোলার। এর খানিকবাদে দলীয় ৪৫ রানে আমিরাতের অধিনায়ক আহমেদ জাভেদকে আউট করেন মাহমুদউল্লাহ।
ফাহাদ তারিককে স্ট্যাম্প করেন সাকিব। দলীয় ৫৫ রানে অষ্টম উইকেট হারায় আমিরাত। মাহমুদউল্লাহর বলে আউট হন সাকলায়েন হায়দার। মুস্তাফিজ, তাসকিন, মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট। সাকিব ও আল আমিন একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এর আগে, মিরপুরে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে মাশরাফির দল সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান।
শুরুতে মোহাম্মদ মিথুন ৪৭ রান করেন। শেষ দিকে মাহমুদুল্লা ৩৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহকে নিয়ে পৌছান ১৩৩-এ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৮। মিথুন এরপর শাহজাদকে একটি ছক্কা ও চার মারলেন পরপর দুই বলে। সাব্বির রহমান (৬) বড় শট খেলতেই বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন।
৯ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান ছিল বাংলাদেশের। ওখান থেকে ১৬০-১৭০ আশা করা যায়। কিন্তু এরপর ১১ রানে ৩ উইকেট হারালো টাইগাররা। মিথুন বল স্টাম্পের কাছে রেখে বেরিয়ে পড়লে হন রান আউট। তার আগে ৪১ বলে ৪৭ রান করেন। ২টি ছক্কা ৪টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর মিথুন।
এর চার বল পরই মুশফিকুর রহিম (৪) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেনন। ৮৩ রানে ৪ উইকেট। ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১১১ রান। আমিরাতের অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ পরপর দুই বলে সাকিব (১৩) ও নুরুল হাসানকে (০) তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন, তবে সেটা হয় নি। শেষ ওভারে ১৭ রান আসে মাহমুদুল্লার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তার অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসটি ছিল ২৭ বলে সাজানো।