কমলগঞ্জে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে শিক্ষাথীদের মানববন্ধন

Pic-1বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উপবৃত্তির টাকা জালিয়াতি মাধ্যমে আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানে।
Pic-2জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের হাজারীবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে বাংলাদেশ চা বাগান শ্রমিক শিক্ষা ট্রাষ্টের আওতায় ২০১৪ সালের ২য় থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী শিপন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার পাত্রখোলা বাগান ব্যবস্থাপককে অবহিত করেন। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক জানতে পেরে দলবল নিয়ে অভিভাবকের উপর হামলা চালালে ৩ জন আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই জের ধরে ২৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার পাত্রখোলা চা বাগানের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের এহেন কার্যকলাপের প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাত্রখোলা চা ছাত্র যুব পরিষদের উদ্যোগে পাত্রখোলা চা বাগানের কারখানার মূল গেইটের সম্মুখে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। যুব পরিষদের সভাপতি অমল গৌড় ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ পাল জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে মাধাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আগামী শনিবার জনসম্মুখে বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্টু সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ও বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবত্তী শিপন জানান, উপবৃত্তির টাকা সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে বন্টন করা হয়েছে। আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ করে মানববন্ধন করা হয়। তিনি জানান, চা শ্রমিক হিসাবে বেতন ভোগ করছি এবং প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমাকে ব্যবস্থাপক সামান্য সম্মানী দিয়ে থাকেন।
পাত্রখোলা বাগান ব্যবস্থাপক শামসুদ্দিন আহমদ সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।