কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩ : লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন মহিলাসহ ৩ জন। তন্মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার ভোর ৬ টায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কানাইদেশী গ্রামে ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার কানাইদেশী গ্রামের দুবাই প্রবাসী ইমানুল হকের পরিবারের সাথে একই এলাকার আছন গনির পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে। এ নিয়ে আদালতেও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিষয়টির গ্রাম্য সালিশে নিষ্পত্তির জন্য প্রবাসী ইমামুল হক সপ্তাহ
খানেক আগে বাড়ী আসেন। বাড়ীতে আসার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের মধ্যস্থতায় ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার বৈঠকের তারিখও নির্ধারিত হয় । সেই সালিশী বৈঠক বানচাল করতে শুক্রবার ভোরে আছান গনির পুত্র মাছুম গনি ও মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ৫/৬ জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় প্রবাসীর বাড়ীতে। এসময় তারা প্রবাসীকে না পেয়ে প্রবাসীর ছোটভাই ব্যাংকার এনামুল হককে বেধড়ক মারপিট করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় এনামুলকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসে রেহাই পাননি তার বৃদ্ধ মা খুর্শেদা বিবি এবং বড় বোন রেহানা বেগমও । হামলাকারীরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রেহানাকে। হামলাকারীরা নারকীয় তান্ডবের পাশাপাশি লুটপাট করে স্বর্ণালংকার সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাল । এসময় তাদের আর্তচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্ত্তি করেন।
হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন এনামুল হক সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে মাছুম গণির বাড়ীতে কোন পুরুষকে পাওয়া যায়নি। বাড়ীর মহিলারা এ ব্যাপরে মুখ খুলতে নারাজ। তবে এনামুলের বাড়ীতে গিয়ে আলাপ কালে, এনামুলের বোন ডলি বেগম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানান আছন গনি ও তার লোকজনের হামলায় মারাত্মক জখম হয়ে এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন তারা মা, বোন ও এক ভাই । আর পরিবারের বাকী সদস্যরা এখন চরম আতংকের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন । তিনি তার ভাই , মা বোনের উপর এই নৃশংশ হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবী করেন।
এদিকে, হামলায় গুরুতর আহত রেহানা বেগমের স্বামী আবু মুসলিম বাদী হয়ে আজ সকালে আছন গনিসহ ৫ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপরাধীদের কাউকে আটক করতে পারেনি।