এবার রিকশাচালককে গুলি করল পুলিশ

untitled-1-44756ডেস্ক রিপোর্টঃ মিরপুরে চা দোকানি বাবুল মাতব্বরের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কল্যাণপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠলো বিনাকারণে এক রিকশাচালককে গুলি করার গুরুতর অভিযোগ। রোববার সন্ধ্যায় কল্যাণপুরের পোড়া বস্তিসংলগ্ন বেলতলি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে রিকশাচালক সাজু’র বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির প্রায় অর্ধেক উড়ে যায়।এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা না বললেও পুলিশের মিরপুর জোনের এডিসি মাসুদ আহাম্মদ গুলির ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, অসতর্কতাবশত এটি ঘটে থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে এভাবেই হতবিহবল হয়ে কাঁদছিলেন রিকশাচালক সাজু। তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় কল্যাণপুর পোড়া বস্তিতে কয়েকজন বন্ধুসহ আগুন জ্বালিয়ে তাপ নেয়ার সময় হঠাৎ তিনজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়ে মারধর শুরু করে।এরপর তাকে টেনে হিঁচড়ে পাশেই একটি টিনের অফিসে নিয়ে দ্বিতীয় দফা বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার বাম পায়ের পাতায় শটগান ঠেকিয়ে গুলি করে পুলিশ। তবে কি কারণে তার প্রতি পুলিশের এমন আচরণ তার কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।গুলির পর ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সে কারণে অসুস্থ সাজুকে নিয়ে চলে আরেকদফা টানাহেঁচড়া। সাজু ও তার স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসার কথা বলে আহত অবস্থাতেই সাজুকে নিয়ে তিনঘণ্টা ধরে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরিয়ে শেষে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যায় পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, পুলিশের মৌখিক আদেশেই তারা রোগী ভর্তি নিয়েছেন।
ডাক্তার জানিয়েছেন, আহত সাজু’র বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির প্রায় অর্ধাংশ উড়ে গেছে। এদিকে ঘটনা শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিরপুর পোড়াবস্তি সংলগ্ন এলাকার লোকজন। ঘটনাস্থলে রক্ত ও অন্যান্য আলামত দেখিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।এদিকে গুলির ঘটনা স্বীকার করলেও পুলিশের দাবি এটি অসতর্কতাবশত হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও মিরপুর জোনের এডিসি মাসুদ আহাম্মদ জানান, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।