গোলাপগঞ্জে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে

coaching Businessগোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গোলাপগঞ্জে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে।তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড না লাগিয়ে ভিন্নকৌশল অবলম্বন করে কোচিং ব্যবসা জমজমাট করে তুলেছে কোচিং সেন্টার গুলো। শিক্ষা মন্ত্রনালয় শিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিং ব্যবসা বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রশাংসা কুড়ালেও এ নীতিমালা বাস্তবায়নে না থাকা ,বিভিন্ন অজুহাতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে বছরের প্রথমে পূর্ণ ক্লাস না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকগণ বিষণ ভাবে হতাশ এবং শির্ক্ষাথীরা কোচিং প্রাইভেট নির্ভর হয়ে পড়ছে।
ফলে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ,ভাদেশ্বর,মীরগঞ্জ,গোলাপগঞ্জ সহ প্রায় এলাকার প্রাইভেট কোচিং ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির পর কোচিংসমূহের শিক্ষক শিক্ষিকাগণ অতংকিত হয়ে পড়েন এবং তারা তাদের সাইনবোর্ড, ব্যানার নামিয়ে ফেলেন , কোচিং ব্যবসা বন্ধ করে দেন।কিন্তু নীতিমালার কোন প্রকার তদারকি না থাকায় নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে কোচিং শিক্ষক শিক্ষিকাগণ নির্ভয়ে প্রাইভেট, কোচিং বানিজ্য করে যাচ্ছেন।শিক্ষকরা এটা কে ব্যবসা হিসাবে নিয়ে এক ব্যচে ৪০/৫০ করে ছাত্র/ছাত্রী এক কক্ষে গাদাগাদি করে পড়াচ্ছেন। প্রতিজনের নিকট নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা সপ্তহে মাত্র ৩ দিন পড়ান ।এতে শিক্ষকরা শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে প্রাইভেট, কোচিং ব্যবসায় বেশী মনোযোগী হচ্ছেন। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রাইভেট কোচিং নির্ভর হয়ে পরছেন।কোচিং সেন্টারের নামে বাহির হয়ে অনেক সময় ছেলে মেয়ে এক সাথে অবাধ মেলামেশার সুযোগ সৃষ্ঠি হওয়ার ফলে অবৈধ প্রেম প্রীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় অমনযোগী হয়ে পড়ছে।প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে মেয়েরা পালিয়ে আসছে।ফলে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, আবার কিছু দিন যেতে না যেতে এই সব বিয়ের বিচ্ছেদ হচ্ছে। আমাদের প্রশ্নের জবাবে এক শিক্ষক বলেন , শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া , চিকিৎসা ভাতা ,ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি না করে প্রাইভেট কোচিং বন্ধ করা ঠিক হবে না। প্রাইভেট কোচিং বন্ধে অভিভাবকের ভূমিকা থাকতে হবে।অভিভাবকের ভূমিকা থাকলে শিক্ষার ধারা পরিবর্তনের সাথে সাথে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হবে ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ ছাত্র জানান,আমাদের কলেজের অনেক শিক্ষক আছেন তাদের কাছে প্রাইভেট কোচিং না করলে কলেজের পরিক্ষায় নম্বর কম দেওয়া হয়।তাই শিক্ষার্থীদের একমত বাধ্য হয়েই প্রাইভেট কোচিং করতে হয়।