ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি, সিলেট ল’ কলেজে সরস্বতী পূজা বন্ধ!

Sylhet Law Collegeডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেট সরকারী ল’ কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরস্বতী পূজার আয়োজন। বুধবার সন্ধ্যায় ল’ কলেজের লাইব্ররি ভবনে আসন্ন সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি সভা চলাকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় কলেজের আসবাবপত্রও ভাংচুর করে দুই পক্ষ।

এই হাতাহাতির পর বন্ধ করে দেওয়া সরস্বতী পূজার আয়োজন।

ল’ কলেজের সরস্বতী পূজা আয়োজক কমিটির সভাপতি এডভোকেট তাপস বন্ধু দাশ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে পূজা বন্ধ করে দেওয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) কলেজ অধ্যক্ষের সাথে বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, সরস্বতী পূজার কমিটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ল’ কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই বিরোধ মিমাংসার জন্য ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এডভোকেট সৈয়দ মহসিন আহমদ দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকেও দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

এরপর আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় কলেজের লাইব্রেরি ভবনে পূজা কমিটির বৈঠক বসে। এসময় কমিটির পদপদবি নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের নগরকেন্দ্রীক দুই গ্রুপের নেতারা। বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে ল’ কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুপক রঞ্জন রায় ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সামন্ত ধরের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ধাওয়া খেয়েপালিয়ে যান সামন্ত। হাতাহাতি চলাকালে কলেজের আসবাবপত্র ভাংচুর করে দুই পক্ষ।

বিবাদে জড়ানো রুপক রায় ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের ও সামন্ত ধর ছাত্রলীগের দর্শন দেউড়ি গ্রুপের কর্মী। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রাথমিকভাবে সরস্বতী পূজার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সিলেট ল’ কলেজের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, বিরোধ দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে কেবল শিক্ষকদের নিয়ে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে।