একুশে বাংলা’র বর্ণীল সাহিত্য উৎসব সাহিত্য কখোনই কারো সাথে প্রতারনা করেনা : লুৎফর রহমান রিটন

Sahity utshab 02শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র একুশে বাংলা ফাউন্ডেশনের দশক পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সাহিত্য উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সাহিত্য আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশ বরেণ্য ছড়াসাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন বলেছেন সাহিত্য কখোনই কারো সাথে প্রতারনা করেনা। সাহিত্য মানুষকে আলোর পথ দেখায়। স্বপ্ন দেখায় বেঁচে থাকার। বিশেষ করে তরুন বন্ধুরা যতবেশি সাহিত্য চর্চা করবে ততই ‘অপ’ থেকে মুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন এই সাহিত্যের সুবাদেই সিলেটের সাথে তৈরি হয়েছে আমার পারিবারিক বন্ধন। ছড়ার রাজা গণমানুষের কবি দিলওয়ারারে স্নেহ ছিলো আমার বাড়তি পাওনা। তিনি এ পূন্যভূমিতে নিয়মিত সাহিত্যের চর্চা ও গবেষনা অব্যহত রাখায় একুশে বাংলা ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানান।
শনিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকেল ৪টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ছড়াকার তুষার কর। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোস্লেহ্ উদ্দিন বাবুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লেখক গবেষক আহমাদ মাযহার।
সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান ও ফাহমিদা সুলতানা সূচীর উপস্থাপনায় সাহিত্য আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার সাহা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ছন্দালাপ সম্পাদক বশির আহমদ জুয়েল।
সাহিত্য উৎসবে ৩জন গুণী ব্যক্তিত্বকে একুশে বাংলা সাহিত্য সম্মননা ২০১৬ প্রদান করা হয়। সম্মননা প্রাপ্তরা হলেন ছড়া ও কিশোর কবিতায় তুষার কর, লোক গানে বাউল আবদুর রহমান ও ছড়াসাহিত্যের ছোটকাগজ সম্পাদনায় শাহাদত বখ্ত শাহেদ। অনুষ্ঠানে ছড়াসাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটনকে প্রথম ছন্দালাপ ছড়াসাহিত্য পদক প্রদান করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে উৎসব স্মারক তুলে দেন লেখক, লেখক সাংবাদিক আল আজাদ, আড়াঙ্গি সম্পাদক ছড়াসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর আলম জাহান, ছড়াকর্ম সম্পাদক শিশুসাহিত্যিক লোকমান আহম্মদ আপন, একুশে বাংলা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান বিধূ ভূষণ ভট্ট্যাচার্য, কবি পুলিন রায়, ছড়াকার সংগঠক অজিৎ রায় ভজন প্রমুখ।
উৎসবে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে কিশোরগঞ্জ ছড়াকার সংসদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী,সিলেট জেলা সংসদ, নগরনাট সিলেট, মৃত্তিকায় মহাকাল, সিলেট সাহিত্য পরিষদ, সংগীত পরিষদ সিলেট, অমিতাভ ললিতকলা একাডেমী সিলেট, পাঠশালা সিলেট, শ্রুতি সিলেট, অন্বেষা সিলেট, ছন্দ নৃত্যালয়, তারুণ্য সিলেট, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি কালচারাল কাব, গীতাঞ্জলী সিলেট। একক পরিবেশনায় অংশ নেন বাউল আবদুর রহমান, বাউল বশির উদ্দিন সরকার ও শর্মিলা দাশ সিমি।
বিকেলে জাতীয় সংগীত ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।