আবারও বর্বরতা: এবার ছাত্রকে আগুনে পুড়িয়ে দগ্ধ করল মাদ্রাসার সুপার

61976ডেস্ক রিপোর্টঃ গোসল না করে মাদ্রাসায় আসার অপরাধে ঠান্ডা পানিতে দাড় করিয়ে রাখার পর আগুনের ছেঁকা দিয়ে ছাত্রকে পুড়িয়ে দগ্ধ করেছে এক মাদ্রসার সুপার।
মাহিম হাওলাদার নামের ওই ছাত্র শিশু শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। ঘটনার পর থেকে মাহিম বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার বারিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরসেলিমপুর ফজলুল উলুম সেরাতুল কুরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকালে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা অনুযায়ী শিশু মাহিমের পিতা নুর আলম হাওলাদার জানান, তার ছয় বছর বয়সের ছেলে শিশু শ্রেণীর ছাত্র মাহিমকে সম্প্রতি ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সেখানে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রাবাসে থাকতো। ঘটনারদিন বুধবার গোসল না করে মাদ্রাসায় যাওয়ার অপরাধে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. আল-আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাশরুমে বসে মাহিমের গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে শিশু মাহিম ক্লাশ রুমের মধ্যেই পায়খানা করে দেয়। এতে সুপার আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিমকে মাদ্রাসার পুকুরে নামিয়ে গলা পানির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখে। মাহিম শীতে কাঁপতে থাকলে সুপার মাহিমকে পুকুর থেকে তুলে হাত-পা ধরে মাদ্রাসার রান্নাঘরের জ্বলন্ত চুলায় আগুনের ছেঁকা দেয়। এতে মাহিমের পেটের একটি অংশ পুড়ে যায়।
নুর আলম আরও অভিযোগ করেন, বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সুপার অন্যান্য ছাত্রদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অতিগোপনে ওই সুপার শিশু মাহিমকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসলে সুপার আল-আমিন শিশু মাহিমকে ফেলে রেখে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহিমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সুপার স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে মাহিমের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. আল-আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।