বেতন-স্কেলে বৈষম্য: চিকিৎসদের কর্মবিরতিতে: দুর্ভোগে সাধারণ রোগী

অষ্টম বেতন স্কেলে ব্যাপক বৈষম্যের দূরকরণ ও ৭দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসাবে রবিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে কর্মবিরতি পালন করা হয়।
অষ্টম বেতন স্কেলে ব্যাপক বৈষম্যের দূরকরণ ও ৭দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসাবে রবিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে কর্মবিরতি পালন করা হয়।

ডেস্ক রিপোর্টঃ অষ্টম বেতন স্কেলে ব্যাপক বৈষম্যের প্রতিবাদে প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ঘোষিত ১০ দিনের কর্মসূটির সপ্তম দিনে ২৭ ডিসেম্বর রবিবার সারা দেশের সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসকগণ কর্মবিরতিতে নেমেছেন। এরই সাথে একাতœতা ঘোষনা করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ কাল ব্যাজ ধারণ করা ছাড়াও বেলা বারটা থেকে দুপুর এটা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। এসময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগ বাদে বর্হিবিভাগের সকল সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হনয় বিভিন্ন স্থরের সরকারী চাকরিজীবীদের অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অষ্টম বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশ করা হলে বেতন বৃদ্ধির আনন্দের পরিবর্তে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্যের করণে সর্বস্তরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সরকারী চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ এই পে স্কেলকে স্বাগত জানায়নি। তাদের মতে এই স্কেলে তাদের দাবী পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। সেই সাথে তাদের পদমর্যাদা অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
রবিবারের সকালের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয়ন কমিটির বিভাগীয় সভাপতি ডা. রুকুন উদ্দিন আহমদ সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান রুমান’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রকৃচি-বিসিএস ও ২৬ ক্যাডার সমম্বয়ন কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবু আব্দুল্লাহ মুকুল, সদস্য ডা. সুব্রত রায়, ডা. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ডা. এনামুল হক, ডা. রেজাউল ইসলাম মোনায়েম, ডা. জালাল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
বর্হিঃ বিভাগের প্রাঙ্গনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তরা বলেন, আমাদের ৭ দফা দাবী পূরণ করতে কাল ব্যাজ ধারণ ও ২৭ ডিসেম্বর রবিবার থেকে ৩০ ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত ১ঘন্টার কর্ম বিরতি ছাড়াও পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারি দেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার চাকরিজীবীদের সুবিধার কথা মাতায় রেখেই এই বেতন স্কেল প্রবর্তন করেছেন। কিন্ত এতে প্রশাসন ক্যাডার ব্যাতীত অন্যান্য ক্যাডারের চাকরিজীবীরা খুব একটা লাভবান হননি। এই চলমান আন্দোলন সকল চাকরিজীবীর অসন্তোষ ঘুচিয়ে, অন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরী করণে সরকারকে উজ্জীবিত করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১ঘন্টার কর্মবিরতিতে সাধারণ রোগীরা ব্যপক ভোগান্তির শিকার হলে জনজীবনে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এসময় জনস্বার্থে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা বহাল রাখা হয়। সাধারণ জনগণ শত ভোগান্তির মধ্যেও চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে স্বাগত জানান। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যারা জনসাধারণকে সেবাদানের মহান ব্রত পালন করে চলেছেন সেই সাথে দেশের চিকিৎসা খাতকে সমুন্নত রেখে চলেছেন তাদের দাবী আজ পূরণের সময় এসেছে।