হবিগঞ্জে তিনটি চা বাগানে সরকারের অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উদ্বেগ

হবিগঞ্জে তিনটি চা বাগানে তড়িঘড়ি করে সরকারের অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা উদ্বেগ জানিয়েছে ! এধরনের ঘটনাঅনভিপ্রেত ও দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর হুমকি স্বরূপ আখ্যাদিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদাবলেছেন, ‘দরিদ্র চা শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ বা বিকল্প ব্যবস্থা না কওে সরকারের অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের উদ্যোগ অমানবিক ! মানবাধিকার সংস্থা হিসেবেআমরা এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি !
আশা করছি অচিরেই আমরা এ বিষয়েনিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক একটি যথাযথ প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারবো !’;উলেখ্য হবিগঞ্জের রামগঙ্গা চা বাগান, বেগম খান চা বাগান এবং চান্দপুরচা-বাগানের প্রায় ৬০০ একর পতিত ভূমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেসরকার। এর ধারাবাহিকতায় এসব চা-বাগানের অধীনে থাকা ৬০০ একর ভূমির ইজারাবাতিল করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে তা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসন। হবিগঞ্জ চা-বাগানের প্রায় ১৬০০০ শ্রমিক ওই এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনেরবিষয়টির বিরূদ্ধাচারণ করছেন ! তাঁদের দাবি, ওই পতিত জায়গায় তাঁরা চাষাবাদ করেজীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে একদিকে যেমন তাদের জীবনবিপন্ন হবে অন্যদিকে পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হবে। দাবি পূরণে চা-বাগানেরশ্রমিকেরা গত সপ্তাহ থেকে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।’