নবীগঞ্জে এক ছিনতাইকারী কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তোলপাড়

Fazal-Ahmedনবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে এক ছিনতাইকারী পৌর নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ২ বছর পূর্বে শহরের প্রাণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে আটক হওয়া বহু অপকর্মের হোতা ফজল আহমদ চৌধুরীকে নিয়ে নবীগঞ্জের সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন- এই ছিনতাইকারীকে কে ভোট দিবে..? ছিনতাইকারী ফজল পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের চিহ্নিত মাদকসেবী ও বহু অপ-কর্মের হুতা হিসেবেই নবীগঞ্জের সর্ব মহলের কাছে পরিচিত। উক্ত ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তখন বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ছবিসহ ফলাও করে একাধীক সংবাদ প্রকাশ হয়। ফজল নিজেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবী করে ভোট প্রার্থনায় মাঠে নামায় এনিয়ে ভোটারের মাঝে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ, ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর রোজ সোমবারে উপজেলার হৈবতপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রানু মিয়া পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের হুন্ডি ব্যবসায়ী বাবুলের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র ওসমানী রোডের অজিত ড্রাগ হাউজে আসেন। এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বহু অপকর্মের হুতা ফজলের নেতৃত্বে একদল ছিনতাইকারী রানুর পিছন দিক থেকে আকস্মিক ঝাপটা দিয়ে তার ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে ফজলকে ঝাপটে ধরেন রানু। পরে রানুর শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ফজল চৌধুরীকে আটক করেন। পরে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর চৌধুরীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে এক শালিস বৈঠক বসলে ফজল তার প্যান্টের পকেট থেকে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বের করে দেয়। বাকী ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা তার বড় ভাই বশির আহমদ চৌধুরী ১ সপ্তাহরে মধ্যে ফিরিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে মুক্ত করে নেয়। এই ঘটনায় নবীগঞ্জ শহরে ব্যবসায়ীসহ সর্ব মহলে এক আতংকের দেখা দিয়েছিল। এভাবে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাকে নজির বিহীন বলেও মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী ফজলের ছবিসহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় লিড নিউজ আকারে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই আলোচিত ছিনতাইকারী আজ হয়েছে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। সে কি তার নিজের ঘরের ভোট পাবে এনিয়েও সন্দেহ রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এমন মাদকসেবী বহু অপ-কর্মের হুতা কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। সরজমিনে ওই ওয়ার্ডের ভোটারদের কাছে গেলে ভোটাররা জানান, আমরা কোন ছিনতাইকারী সন্ত্রাসীদের ভোট দেবনা। আমরা সৎ শিক্ষিত নম্র ভদ্র ও এলাকার উন্নয়নের যে কাজ করবে তাকেই ভোট দেব। উক্ত ওয়ার্ডের জয়নগর গ্রামের ভোটাররা জানান, দখলবাজ সন্ত্রাসী পেন্সিডিলখোর কোন কাউন্সিলর প্রার্থী আমাদের ভোট আশা করতে পারেনা। আমরা দক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দেব।