অনুপস্থিতির ফাঁদে কিবরিয়া হত্যা মামলা

Kibria Murderডেস্ক রিপোর্টঃ একদিন সাক্ষী হাজির হলে আসামী অনুপস্থিত তো আরেকিদন আসামী হাজির হলে সাক্ষী অনুপস্থিত। এমন অনুপস্থিতির ফাঁদে পড়ে আটকে আছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা। বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে এই হত্যা মামলার বিচার কাজ। আজ আরেক দফা চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ আরেকদফা পিছিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও পর্যাপ্ত আসামি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, আজ আদালতে কারান্তরীণ আসামিদের মধ্যে মাত্র ৫ জন হাজির ছিলেন। এজন্য আদালতের বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেছেন বিচারক।

এডভোকেট কিশোর কর আরো জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

এর আগে বুধবার সাক্ষী না আসায় এবং পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ২৬ নভেম্বর হরমুজ আলী ও শমসের মিয়া নামক দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২৫ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১৮ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ২ জন। ১৯ নভেম্বর হরতাল থাকায় আদালতে আসামি ও সাক্ষীরা হাজির হতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। গত ১১ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরদিন সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়। গত ৫ নভেম্বর আবদুর রউফ ও এরফান আলী নামক দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরও আগে গত ৪ নভেম্বর এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি।

গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে স্বাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।