ঝিনাইদহে ইউপি চয়োরম্যানরে কান্ড পুকুর দখল ও মৎস্য হরণ !!

Jhinaidahজাহিদুর রহমান তারিকঃ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চান্দো গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মুকুলের পুকুর দখল করে মৎস্য হরণ করে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন সুফল পাননি। নিজের জমি দখলমুক্ত করতে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। জানা যায়, চান্দো গ্রামে নিজের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৭২ চান্দো মৌজার বিলের ২৮০ নং এস এ, ডিপি ৩০০ ও ২৪৯, ২৫০, ৩৮১, ৩৮২ ও ৩৮৩ দাগের ৫.৩২ শতকের মধ্যে ৪.৮২ শতক জমিতে পুকুর খনন করে। ২০০৫ সালে কৃষি ব্যাংক থেকে মৎস্য চাষের জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন তিনি। এমতাবস্তায় ওই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে লিটন মুন্সী, পার্শবর্তী পিরোজপুর গ্রামের জলিল মন্ডলের ছেলে ফিরোজ ও জাদুড়িয়া গ্রামের আহম্মদ বিশ্বাসের ছেলে মকলেছুর রহমান ওই জমি জাল লিজনামা তৈরী করে দখল করে। এতে মিজানুর রহমান ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নি। উপরন্তু মামলার আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। মামলায় চলতি বছরে ১৮ নভেম্বর ঝিনাইদহ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সেখানে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু দখলদাররা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আবারো ওই পুকুরে মাছ ধরছে। তাতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর যাবত আমি আমার পৈতৃক সম্পতি দখলমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি। আজ পর্যন্ত এর কোন সুফল পায়নি। আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু পুকুর দখলমুক্ত হয়নি।
তিনি বলেন, আমি ঘোড়শাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলাম। সরকারী দলের একজন নিষ্ট কর্মী হয়েও আমি এর বিচার পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, আদালতে থেকে পুকুরের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেয়েছি। অফিসার পাঠিয়ে তা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও যদি কেউ তা উপেক্ষা করে মাছ ধরতে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।