শিশু সাঈদ হত্যা মামলা : ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

Geda-and-Sayeedডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটে ৯ বছরের শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় আজ বুধবার আরো ৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ আদালতে কোতোয়ালী থানার প্রাক্তন ওসি আসাদুজ্জামান, ওসমানী হাসপাতালের ডা. শামসুল ইসলাম ও মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিম পাটোয়ারি সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেদুল করিম, ফারহানা ইয়াসমিন, ডিবি পুলিশের কমকর্তা শামীম হোসেন পীর ও জকিগঞ্জ থানার এসআই জহর লাল আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত সোমবার আদালতে সাঈদের প্রতিবেশী সেলিম আহমদ, আজির উদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুছ, মোক্তাদির আহমদ জুয়েল, দোলোয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ তারেক ও আবুল হোসেন সাক্ষ্য দেন।
গত রবিবার আদালতে সাঈদের মা সালেহা বেগম, মামা জয়নাল আবেদীন, হিলাল আহমদ, বিমানবন্দর থানার ওসি গৌছুল হোসেন, থানার এসআই সাফরাজ মিয়া, আবুল কাশেম সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর সাঈদের বাবা ও মামলার বাদী মতিন মিয়া, আশরাফুজ্জামান আজম, ফিরোজ আহমদ, ওলিউর রহমান ও শফিকুল ইসলাম আলকাছ আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত ১৭ নভেম্বর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই ৪ জন হচ্ছেন নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম। এরা সবাই কারান্তরীণ রয়েছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।