জকিগঞ্জে ৪৯ প্রধান শিক্ষকসহ ১১২ শিক্ষকের পদশূন্য

jakiganj_pic19-11-2015সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় ৪৯টি প্রধান শিক্ষকসহ ১১২টি শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় বিদ্যালয়েই শিক্ষক সংকটের কারণে রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হচ্ছে না। জকিগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪টি, সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে ১৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে ৯৭টি। শিক্ষক না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এসব স্কুলে শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে অবসর, পিটিআই প্রশিক্ষণ ও বদলিজনিত কারণে এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অনেক বিদ্যালয়ে ৩/৪ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। প্রধান শিক্ষকবিহীন স্কুলগুলোতে সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রধান শিক্ষকের কার্যক্রম। সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকায় বেশি সময় অফিসিয়াল কাজে শিক্ষা অফিস, ট্রেনিং ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে হয়। যার ফলে স্কুলে নিয়মিত পাঠদান দেয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে বদলি ও অবসরজনিত কারণে উপজেলার চককেনাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়চালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব জামডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালপুর (ক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালপুর (খ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোহারমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গর্দিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মামরখানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর গৌছআলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌধুরী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিরাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪৯টি বিদ্যালয়ে ৯৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে।

শিক্ষক শূন্যতার কারণে সমাপনী ও অন্য শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। সমাপনী পরীক্ষার্থীরা সন্তোষজনক ফল নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিজ উদ্দিন মিঞা বলেন, শিক্ষক শূন্যতার বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।