মন্ট্রিয়লে হিন্দু এসোসিয়েশনের বর্ণাঢ্য আনন্দোৎসব

IMG_1851সদেরা সুজন, সিবিএনএ।। শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা ও দীপাবলী উপলক্ষে বিশাল রকমারি নান্দনিক ও জাঁকজমক বর্ণাঢ্য আনন্দোৎসব ও ম্যাগাজিন অনষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন অব ক্যুইবেক, মন্ট্রিয়ল। গতকাল শনিবার মন্ট্রিয়লের সনাতন ধর্ম টেম্পলে শর্মীলা ধর ও শক্তিব্রত হালদার মানু’র দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনায় বিচিত্রানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক ঘন্টাব্যাপী রকমারি আনন্দানুষ্ঠান উপস্থিত বিপুল সংখ্যাক প্রবাসী দর্শক শ্রোতাদেরকে মুগ্ধ করে রেখেছিল।শতাধীক কলাকুশলীর অসাধারন নান্দনিক পরিবেশনা ছিলো দেখার মতো উপভোগ্য। আবালবৃদ্ধবনিতা দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ চিৎকার দেখে মনে হয়েছিলো সত্যিই যেনো আলোর উৎসব দীপাবলীর উজ্জ্বল আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে পড়েছিলো উপস্থিত সবার হৃদয়ে হৃদয়ে। অনুষ্ঠানে নাচ-গান আর হাস্যরসের মাঝে বিশেষ সংকলন ‘উৎসব’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তথ্যবহুল শোভন নান্দনিক প্রচ্ছদের ম্যাগাজিনটি সম্পাদনা করেন শ্যামল দত্ত, কৃষ্ণপদ সেন, শর্মিলা ধর ও গোপেন দেব। সংকলনটির মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যক্ষ ফনিন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য ও এডভোকেট সুনীল কুমার দাস। উদ্বোধনী প্রদীপ উৎসব ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’ নামের অনুষ্ঠানটির মধ্য দিয়েই বধু-জননীরা বিচিত্রানুষ্ঠানের সূচনা করেন। নতুন প্রজন্মের খ্যাতিনামা নৃত্য শিল্পী পূর্না হালদারের পরিচালনায় কালী পূজার ফ্যাশন শোটিও ছিলো দেখার মতো।পূজা দে চৌধুরীর পরিচালনায় রঙ্গিলা গ্রুপের নৃত্যানুষ্ঠান ছিলো দর্শক নন্দিত। ফ্রান্সের প্যারিসে মৌলবাদী হায়েনাদের বর্বরোচিত জঘন্য অমানবিক হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সোমা চৌধুরীর প্রতিবাদী গান সবাইকে জাগরিত করেছে। শর্মিলা ধরের পরিকল্পনায় সাতপাকে বাধা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মলয় বর্মন, নন্দা বর্মন ও মিহির মিত্র ও বাবলি মিত্র। দিপ্তী পালের একক নৃত্য ছিলো অসাধারণ। অনুপ চৌধুরী ও শেলী দে’র পরিচালনায় সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মুনমুন দে’র পরিচালনায় শ্রীমতিদের লীলা কীর্তনও ছিলো দর্শক নন্দিত। এবছরের আনন্দোৎসব দেখে দর্শক শ্রোতা মুগ্ধ। উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা এমন সুন্দর অনুষ্ঠান প্রতিবছর উপহার দিবেন এমন প্রত্যাশা রেখেছেন বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন অব ক্যইবেক মন্ট্রিয়লের কর্মকর্তাদের কাছে।