পুলিশকে আইন মানতে বাধ্য করলো সেনাবাহিনী

police vs armyসুরমা টাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশে আইন বলতে অনেকে “বাংলাদেশ পুলিশ” কে বুঝে থাকেন, আর বুঝারই কথা কারন বাংলাদেশে পুলিশই একমাত্র সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। বহু বছর পূর্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল বলেছিলেন, “আইনকেই শাসন করা উচিত”, আর একথারই যথার্থতা প্রমানে যেন বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্যকে আইন মানতে বাধ্য করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মিলিটারি পুলিশ সদস্য।

স্থান, ঢাকা সেনানিবাসের রজনীগন্ধ্যা গেট। একটি লাল পালসার মোটরসাইলে চড়ে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে যাচ্ছিলেন দুইজন পুলিশ সদস্য। যিনি মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন তার মাথায় হেলমেট রয়েছে কিন্তু অন্যজনের মাথায় কোন হেলমেট নেই।

একজন এম.পি তাদের মোটরসাইকেলে গতিরোধ করলেন, থামিয়ে জিজ্ঞেস করলেন আপনাদের মাথায় হেলমেট নেই কেন? জবাবে পিছনে বসা সেই পুলিশ সদস্য বললেন আমি একটি জরুরি কাজে যাচ্ছি, এখনি যেতে না পারলে সমস্যা হবে। আমাদের যেতে দিন। কিন্তু এম.পি (মিলিটারি পুলিশ) সদস্য বললেন, আমার কাছে সবাই সমান। আপনাকে ছেড়ে দেব আর সাধারণ মানুষকে আটকে রাখবো? আইন কি আপনার জন্য আলাদা?

প্রায় বিশ মিনিটের চেষ্টা। কিন্তু অনড় হয়ে রইলেন এম.পি (মিলিটারি পুলিশ) সদস্য। বারবার সেই এম.পি (মিলিটারি পুলিশ) সদস্য বলছেন, হয় একজন মটরসাইকেলে যান অথবা দুইজনই মাথায় হেলমেট পড়ুন। হাস্যকর কিছু যুক্তিও দিচ্ছিলেন সেই দুই পুলিশ সদস্য। কিন্তু লাভ হয়নি। হেলমেট ছাড়া সেই পুলিশ সদস্য মটরসাইকেল থেকে নেমে গেলেন। ফোন দিয়ে একটি প্রাইভেট গাড়ি আনিয়ে তাতে চড়ে সেনানিবাসের ভেতরে প্রবেশ করলেন।

যতদিন পর্যন্ত আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন দেশের অরাজকতা দূর করা যথেস্ট কস্টসাধ্য। আইনের শাসন বাস্তবায়ন করতে না পারলে সমাজ হবে আরো কুলষিত ও অনিরাপদ। তাই দেশটাকে নাগরিকের জন্য নিরাপদ আবাস্থল হিসেবে গড়ে তুলে সকলমহলের সহযোগিতা একান্তই প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেি আমরা পেতে পারি অনাচার মুক্ত একটি সুস্থ সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ।