শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

Sreemangol-10 (1)কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হবিগঞ্জ সড়কের সোনালী মাকের্টের তৃতীয় তলায় অবস্থিত বিটিএস কমিউনিকেশন্স বিডি প্রতিষ্ঠানের সার্টার কেটে জুয়েল আহমদ (১৮) লাশ উদ্ধার করে মার্কেটের ব্যবসায়িরা। নিহত জুয়েল আহমদ পৌর শহরের গুহরোডের বাসিন্দা মোঃ মুজিবুর রহমানের ছেলে।
১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপরের দিকে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সোনালী মার্কেটের এম এম কম্পিউটার গ্যালারীর কর্মচারী সঞ্জয় গোয়ালা জানান, সে যে দোকানে চাকুরী করে ওই দোকানের মালিকের মামার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জুয়েল জেনারেটর অপারেটর হিসেবে কাজ করতো।
সঞ্জয় আরো জানান, বিটিএস কমিউনিকেশন্স বিডি একটি ইন্টারনেট সংযোগকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জুয়েল ওই অফিসে সাত মাস ধরে চাকুরী করে আসছে। সে রাতে অফিস থাকে। তাঁর কাজ রাতে যখন বিদ্যুত চলে যায় তখন সে অফিসের জেনারেটর চালু করে। আর আগের দিন যাওয়ার পর সে জেনারেটর চালু করে আশ পাশের লোকজন জানিয়েছেন আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত জেনারেটর চালু ছিল। তাঁর পর অফিসের ইউপিএস চলে বন্ধ হওয়ার পর জুয়েলের নাম্বারে বিটিএস বিডি মেইন অফিস সিলেট থেকে জুয়েলের মোবাইল ফোনে কল আসে তাতে কোনও শব্দ সাড়া শব্দ
মেলেনি। এর পর ঢাকা-মৌলভীবাজার অফিস থেকেও ফোন দিলে তাকে পাওয়া না যাওয়ায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৪০-৫০ জন লোকের উপস্থিতিতে মার্কেটের অফিসের সার্টার কেটে জুয়েলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় নিহত জুয়েলের নাকে ও মুখে সামান্য ফেনা বের হতে দেখা যায়। এর পর পরই মার্কেটের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ এসে জুয়েলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে মার্কেটের লোকজন জানিয়েছেন, নিহত জুয়েলের সাথে সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত তাঁর মোবাইল ফোনে কথা বলা হয়। এর পর থেকে তাকে আর ফোনে যায়নি। অপর একটি সূত্রে জানা যায় নিহত জুয়েল সকালে নাস্তা করে অফিসে আসতে অনেকেই দেখেছেন। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা কেউ বলতে পারছেন না।
শ্রীমঙ্গলের বিটিএস বিডি ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আনোয়ারুল হক মন্টু টেলিফোনে বলেন, জুয়েল আহমদ তিন চার মাস আগে আমার প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর অপরেটর হিসেবে চাকুরী করছে। কেন কিভাবে সে মারা গেছে এ বিয়টি পুলিশ দেখবে বলে তিনি দ্রুত লাইন কেটে দেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত জুয়েলের লাশ তার অফিসে মৃত অবস্থায় পড়েছিল। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মুখে ও নাকে কিছু ফেনা বের হতে দেখা গেছে। ওসি আরো বলেন, নিহততের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার পাঠানো হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোর্টে কিছু পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।