জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকেই গুরুতর অসুস্থ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নি¤œ মাধ্যমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন’ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৫ম দিন অনশন কর্মসূচী অব্যাহত রাখেন। এর আগে তাঁরা দুই দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং পরবর্তী দুই দিন প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ  সাড়া না পাওয়ায় আত্মনিগ্রহের এই পথ ধরেছেন। আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বছরের পর বছর বিনা বেতনে ধুঁকে ধুঁকে মরার চেয়ে একবারে মরাকে শ্রেয়জ্ঞান করছেন। অনশনের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষকদের মধ্যে ঝিনাইদহের শহিদুল ইসলাম, যশোরের সাইফুল আলম, টাঙ্গাইলের নাছিমা আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষক নেতা শফিকুল ইসলামসহ আরো বহু সংখ্যক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের বিভিন্ন ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ এনে জরুরী চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানাসহ প্রমুখ। বক্তারা সচিবালয়ের অনতি দূরে অনশনরত শিক্ষকদের শিক্ষামন্ত্রী বা সরকারের কোন প্রতিনিধি খোঁজখবর না নেয়ার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা সরকারের প্রতি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া আহ্বান জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষক নেতারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যথারীতি অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।