আল হামরা মার্কেটে চার নারীর ফন্দি : ২০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে লাপাত্তা

al hamraসুরমা টাইমস ডেস্ক :সিলেট এবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে নারী প্রতারক চক্রের একদল সিন্ডিকেট। তারা আকর্ষনীয় পোষাকে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীর অভিজাত মাকের্টগুলোতে। তাদের রুপ ও কথাবর্তা মুগ্ধ করে যেকোন কাউকে। এ রকম একটি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে নগরীর আল হামরা শপিং সিটিতে। ক্রেতাবেশে হাজির হয় আল-হামরা শপিং সিটির গোল্ড গার্ডেনে। তারা মঙ্গলবার ওই দোকান প্রবেশ করে নানা অভিনয় আর কৌশলে অভিনব পন্থায় প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় ওই নারী চক্রটি।

আল-হামরার চতুর্থ তলায় অবস্থিত গোল্ড গার্ডেনের মালিক মালিক আয়াতুল ইসলাম খানের শ্যালক মাসুক মিয়া জানান, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে তাদের দোকানে প্রথমে দু’জন নারী আসেন। তারা স্বর্ণালঙ্কার দেখার সময়ই মিনিট কয়েকপর আরও দু’জন নারী আসেন। তখন দোকানে ম্যানেজার অশোক কুমার শাহ এবং মাহতাব আহমদ ও কবির আহমদ ছিলেন। প্রথম দুই নারী স্বর্ণালঙ্কার দেখার ছলে বিক্রিয় কর্মীদের ব্যস্ত করে রাখেন। তারা বিভিন্ন ধরণের স্বর্ণালঙ্কার প্রথমে দেখেন। ওগুলোর পর আরও স্বর্ণ তারা দেখতে চান। তখন আগের দেখানো স্বর্ণগুলোর কৌটা একপাশে রেখে নতুন করে তাদের আরও স্বর্ণ দেখাতে শুরু করেন বিক্রয় কর্মীরা। এই ফাঁকে পরবর্তীতে আসা দুই নারীর একজন পাশে রাখা স্বর্ণের কৌটা সরিয়ে ফেলেন। তারপর স্বর্ণ পছন্দ হয়নি বলে একে একে চার নারীর দোকান থেকে বেরিয়ে পড়েন।

মাসুক মিয়া জানালেন, প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ খোয়া গিয়েছে। ব্যাপারটি তাদের কারও নজরেই আসেনি। নারীরা চলে যাবার পর স্বর্ণ ঘুচাতে গিয়ে দেখেন একটি কৌটা পাচ্ছেন না। তখন তারা দিনদুপুরে পুকুর চুরির বিষয়টি ধরতে পারেন। ততক্ষণে ওই নারীরা উধাও হয়ে গেছেন। তাৎক্ষণিক দোকানের সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা করে ওই চার নারীর অভিনব কৌশলে স্বর্ণ নিয়ে চম্পট দেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। দেখা যায়, চার নারীদের একজন স্বর্ণের ওই কৌটাটি তার শাড়ির ভেতর ঢোকাচ্ছেন। তারপর সেটি পেটের ওপর যতœ করে রেখে দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয় বলে তিনি জানান।

এই ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। তবে ওই দোকান কর্তৃপক্ষ এখনো তাদের কিছু জানায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে- এমন খবরে তিনি বলেন, আমি ওসি, জানলে তো আমার জানার কথা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমত উল্লাহ (মিডিয়া) জানান, ব্যাপারটি তারা অবগত হয়েছেন। কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এই বিষয়ে জানতে এসির মোবাইলে ফোন গেলেও রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।