কমলগঞ্জে উৎসব ভাতার দাবীতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি

গভীর রাত পর্যন্ত চলা সমঝোতা বৈঠকে সমাধানে এনটিসির চা বাগানের শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) বিশ্বজিৎ রায়: সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাত পর্যন্ত চা বাগান ব্যবস্থাপক ও চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের চলা সমঝোতা বৈঠকে অবশেষে সমাধান হলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার এনটিসির ৭ চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছে। সম্প্রতি চা বাগান মালিক পক্ষ ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সমঝোতা স্বাক্ষর অনুযায়ী নির্ধারিত হাতে উৎসব বোনাসের দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকারী মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসির) সাতটি চা বাগানে সোমবার সকাল থেকে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চলের) কার্যকরি কমিটির সাদারন সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, সোমবার এনটিসির ৭টি কুরমা, পাত্রখোলা, চাম্পারায়, মাধবপুর, মদনমোহনপুর চা বাগান ও ফাঁড়ি চা বাগান পদ্মছড়া ও বাঘাছড়া চা বাগানের প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক সঠিকভাবে উৎসব বোনাসের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিল। এতে সোমবার এই ছয়টি চা বাগানে নতুন করে কোন চা পাতা উত্তোলন হয়নি এমনকি চা কারখানায়ও কাজ বন্ধ ছিল। এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যার পর ধলই ভ্যালি কাবে এনটিসির ৫টি প্রধান চা বাগান ব্যবস্থাপক, এনটিসির ডিজিএমসহ কর্মকর্তারা চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও আন্দোলনকারী চা শ্রমিক প্রতিনিদির সাথে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। রাত দুইটা পর্যন্ত বৈঠক চলে। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত উৎসব বোনাসের একটি অংশ শ্রমিকদের প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় উৎসব বোনাসের বাকী অর্থ প্রদান করা হবে। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনকারী চা শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিসির মালিকানাধীন দুইজন ব্যবস্থাপক সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমলগঞ্জের আন্দোলনকারী চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছে।