শ্রীমঙ্গলে রাবন বধ

জীবন পাল,শ্রীমঙ্গল: প্রতিবারের মত এবারও শ্রীমঙ্গল উপজেলার লালবাগ পুজা উদযাপন পরিষদ তাদের পুজা মন্ডপের পুজাকে আকৃষ্ট করতে এনেছে ভিন্নতা। এবারের পুজায় তারা রাম-রাবন বধ এর কাহিনীটি ১৫ মিনিটের স্লাইড শো এর মাধ্যমে মুর্তি দর্শনে আসা দর্শনার্থীদের প্রদর্শন করছেন। গত কয়েক বছর ধরে লালবাগের এই আয়োজন দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করেছে।যার কারনে কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় এভাবে ভিন্নতা এনে আয়োজন করা হয় শারদীয় দূর্গোৎসব।গত বছর তাদের আয়োজনে আকর্ষন হিসেবে ছিল সাপের মুখ দিয়ে ঢুকে মূর্তি দেখে সাপের লেজ দিয়ে বের হওয়া।এবারের আকর্ষনে রয়েছে রাক্ষসের মুখ দিয়ে ঢুকে মুর্তি দেখে রাক্ষসের পেট দিয়ে বের হওয়া।

প্রতিবারের এই ভীন্নধর্মী আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে লালবাগ পুজা উদযাপন কমিটির সদস্য রাজিব জানান,যদিও আমাদের লালবাগের এই আয়োজনটি অনেক ব্যয় বহুল তবুও আমাদের এলাকার সকলের সহযোগিতায় আমাদের শ্রীমঙ্গলের মানুষকে ডিজিলাইজেসনের সাথে সম্পৃক্ত করতে ও পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের প্রতি বছরের এই ভীন্নধর্মী আয়োজন। আশা করি সকলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে প্রতি বছরের আমাদের এই আয়োজনও অব্যহত থাকবে।প্রতিবছরের ন্যায় এবারও লালবাগের ভীন্নধর্মী আয়োজন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভীড় করছে। প্রথম দিন মহাসপ্তমীতে সাধারনত তেমন একটা মানুষের
ভীড় দেখা যায় না,তবে এবার তার ভীন্ন রুপ দেখা গেছে।প্রথম দিন থেকেই ভীন্নধর্মী এই আয়োজন নিজ চোখে দেখতে অনেকেই ভীড় করেছে।যে ভীড় ছিল অনেক
রাত পর্যন্ত। লালবাগের ভীন্নধর্মী এই আয়োজন দেখতে আসা দর্শনার্থী অনিক সরকার জানান,প্রতি বছরেই লালবাগের আয়োজন শ্রীমঙ্গলের অন্য মন্ডপের থেকে অনেক আকর্ষনীয় হয়ে থাকে। তাই প্রতিবারই তাদের এই ভীন্নধর্মী আয়োজন দেখতে এখানে ছুটে আসি। ভেবেছিলাম প্রথম দিন তেমন একটা ভীড় হবেনা।কিন্তু রাত বাড়ার সাথে সাথে দেখছি মানুষের ভীড়ও বাড়ছে। প্রথম দিনই যদি এই অবস্থা,বাকি দুই দিন তো রয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিমত,লালবাগে প্রতিবছরই অনেক মানুষ আসে পুজা দেখতে।সারা শ্রীমঙ্গল শহরের মধ্যে এই এলাকার মন্ডপের আয়োজনে আকর্ষন থাকায় মানুষের এই ঢল। লালবাগ পুজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রীমঙ্গলবাসীর সাথে সাথে সকলকে লালবাগের এই আয়োজন দেখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।