রাজন হত্যা : কামরুলের আবেদনে ১১ সাক্ষীর ফের সাক্ষ্যগ্রহণ

Kamrul_Killerসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ১১ সাক্ষীকে আগামীকাল বুধবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আইনজীবী আলী হায়দার ফারুক ১১ জনের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করলে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন জানান, আজ আদালতের হাজির হয়ে কামরুলের পক্ষে তার আইনজীবী আলী হায়দার ১৫ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান। আবদনে তিনি উল্লেখ করেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণকালে কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না এবং তার আইনজীবীও ছিলেন না। তাই কামরুলের উপস্থিতিতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান তিনি। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১৩ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বুধবার নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
গত ১৮ অক্টোবর একই আদালতে এই হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে মোট ৩৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে বিচারক ২০ অক্টোবর আসামি পরীক্ষা ও ২৫ অক্টোবর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য দিন ধার্য করেন।
এই হিসেবে আজ আদালতে প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ১১ আসামিকে হাজির করা হয়। আদালত তাদের শনাক্ত করে এই মামলার ১১ জন সাক্ষীকে হাজিরের আদেশ দেয়।
রাজন হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিদ আলম, আলী হায়দার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন হত্যাকারীদের সহযোগীরা। তারা নিজেরাই সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।
ঘটনার পরদিন সৌদি আরব পালিয়ে যান হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা কামরুল ইসলাম। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যেমে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।