গোলাপগঞ্জ-ঢাকাদক্ষিণ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের বিরোধ : চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :সিলেটের গোলাপগঞ্জ ঢাকাদক্ষিণ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের ড্রাইবারদের দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধ আর কতো দিন চলবে? এ প্রশ্ন সর্ব সাধারণের। সিএনজি ড্রাইবারদের চলমান বিরুধের কারণে বিপাকে যাত্রীরা।জানা যায়,গোলাপগঞ্জ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের ড্রাইবারদেরকে ঢাকাদক্ষিণ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের অসাধু ড্রাইবাররা কয়েকদফা মারামারি ও গাড়ির চাবি রাখা নিয়ে এ বিরোধ।অনেকবার নিস্পত্তি হলেও ঢাকাদক্ষিণের অসাধু ড্রাইবাররা বিনা অজুহাতে বারবার গোলাপগঞ্জের ড্রাইবারদের উপর আক্রমণ করে বসে।প্রায় ৫/৬ বছর ধরে ড্রাইবারদের এ সমস্যার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদেরকে।ঢাকাদক্ষিণ ষ্ট্যান্ড থেকে গোলাপগঞ্জ ষ্ট্যান্ডের সিএনজিতে কোন যাত্রী উঠতে পারেন না,যদি কেউ উঠেন তবে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে ঢাকাদক্ষিণ ষ্ট্যান্ডের ড্রাইবাররা।এতে করে অনেক সম্মানিত মানুষজনকে অপমানিত হতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,ঢাকাদক্ষিণ ষ্ট্যান্ডের কিছু ড্রাইবার খুবই অশৃংখল।এদের কারণে যাত্রীরা চরম বিপাকে।গোলাপগঞ্জ থেকে ঢাকাদক্ষিণ পর্যন্ত যাত্রী ভাড়া নির্ধারিত ১০টাকা থাকলেও চলতি বৎসরের শুরু থেকে
ঢাকাদক্ষিণ ষ্ট্যান্ডের অসাধু কিছু ড্রাইবার বাড়তি ৫টাকা বাড়িয়ে ১৫টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে।ঢাকাদক্ষিণ থেকে সিলেট কদমতলী ষ্ট্যান্ডের ভাড়া ছিল ৩০টাকা।আর এখন ১০টাকা বাড়িয়ে ৪০টাকায় নেয়া হয়েছে।বহিরাগত ড্রাইবারদের সাথে ঢাকাদক্ষিণ ষ্ট্যান্ডের ড্রাইবাররা সবসময় অসদাচরণ করতে দেখা যায়।শুধু তাই না,তারা ষ্ট্যান্ডে বসে ইভটিজারের ভূমিকা পালন করছে।স্কুল কলেজের ছাত্রী ও মহিলা যাত্রীদের তারা শীষ দেয়।তাদের দিকে আড়চোখে তাকায়,অশালীন কথা শুনায়,মোবাইলে গান বাজায়।এতে চরম বিব্রতবোধ করে ছাত্রীরা।এ স্থান দিয়ে চলাফেরা করতে তারা অস্বস্তিবোধ করে। অভিভাবকরা চরম দুশ্চিন্তায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিকজন জানান,ঢাকাদক্ষিণ ষ্ট্যান্ডের ড্রাইবাররা খুবই অশৃঃখল।এদের কারণে যাত্রীরা যেমন চরম বিপাকে তেমনি স্কুল কলেজের ছাত্রীরা।এই অসাধু ড্রাইবারদের কবল থেকে যাত্রী ও ছাত্রীদেরকে রক্ষা করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তারা জোর দাবী জানান।তারা বলেন,আমরা আশা করবো,অত্র অঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এবং প্রশাসন অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।