ব্যবসায়ী মজিদ হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন ও ১ জনের ৫ বছর জেল

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীরামপুর নয়াবাজারের আলোচিত তরুণ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করা হয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর মামলা চলার পর রোববার ২০ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের জজ মকবুল আহসান এই রায় প্রদান করেন। রায়ে মামলার ১ নং আসামী রুবেল হোসেন, ২ নং আসামী জুয়েল মিয়া ও ৩ নং আসামী আজাদুর রহমানকে যাব্বজীবন কারাদন্ড এবং ৪ নং আসামী আব্দুল মোহিত মিয়াকে ৫ বছরে জেলা দেয়া হয়েছে। আর বাকী ৭ জন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায়ে নিহতের পিতা আব্দুর রহমান আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন আসামীদের সব্বোর্চ শাস্তি হলে শান্তি পেতাম। জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার গোপীনগর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে নয়াবাজারের তরুণ ব্যাবসায়ী আবদুল মজিদকে ২০১২ সালের ২৯শে আগষ্ট বাড়িতে থেকে ডেকে নিয়ে রাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দার ঝড় উঠে পতনউষার ইউনিয়নসহ কমলগঞ্জ উপজেলায়। তার অপরাধ ছিল প্রতিবেশি আজাদুর রহমানের মেয়ে আমেনা আক্তার জুই এর সাথে প্রেম। প্রেমটি আসামি আজাদুর রহমান মেনে নিতে না পারায় ২৯ আগষ্ট রাতে মেয়ের দুই ভাই আসামি রুবেল মিয়া (২৪) ও আসামি জুয়েল মিয়া (২৩) রাতে আবদুল মজিদকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রেমিকার বাড়ি নিয়ে যায়। রাতে খাওয়ানোর পর মজিদের হাত পা বেধে গাড় ভেঙ্গে,কান কেটে,কানে শিক ডুকিয়ে চোখ দুটি তুলে ফেলে এবং পুরুষাঙ্গ কেটে শরিরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে নৃশংসভাবে খুন করার পর লাশ মজিদের বাড়ির পিছনের ডোবায় ফেলে রাখে। পরে অনেক খুঁজাখুুঁজির পর পুলিশ ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত মজিদের বাবা আব্দুর রহমান রুবেল হোসেনকে প্রধান আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেল হোসেন, জুয়েল মিয়া, আজাদুর রহমান, আব্দুল মোহিত মাসুক, আফরুজ, সাহিন, আজমান, ডলি, আলমা ও জুইকে আটক করে। পুলিশ ব্যাপক তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৮ আগষ্ট ১১জনকে অভিযুক্ত করে মামলার ফাইনাল চার্জশীট আদালতে দাখিল করে। দীর্ঘ ২ বছর মামলাটি আদালতে চলার পর রোববার সিলেটেৎর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের জজ মকবুল আহসান এর আদালতে আলোচিত মজিদ হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হয়। এদিকে নিহত আব্দুল মজিদ এর বাবা আব্দুর রহমান ও নিহতের মামা আব্দুর রব রায়ের পর অনুভুতি জানতে গেলে তারা বলেন, রায়ে খুশি তবে সব্বোর্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হলে মজিদের আতœা শান্তি পেত। এভাবে আর কেউ যেন মজিদের মতো নিমর্ম হত্যার শিকার না হয়।