মাধবপুরে প্রবাসী স্ত্রী গলা কেটেছে পাষন্ড স্বামী : রক্তমাখা ছোরা সহ স্বামী আটক

pic madhabpur 20.09.2015 (1)হামিদুর রহমান,মাধবপুর থেকে: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামে আকলিমা আক্তার ডলি নামে লেবানন প্রবাসী স্ত্রী ও ২ সন্তানের জননীকে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড স্বামী। রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। জনতা রক্তমাখা ছোরা সহ স্বামী আবুল কাশেমকে হরষপুর সীমান্ত ফাঁড়ি বিজিবির নিকট সোর্পদ করলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। গুরুতর আহত ডলিকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ ও আকলিমার স্বজনরা জানান, ২০০৪ সালে ২৪ শে জুন মাধবপুর উপজেলার শিয়ালউড়ি গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তার ডলির সঙ্গে পাশ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের আব্দুল মওলার ছেলে আবুল কাশেমের সঙ্গে বিয়ে হয়। ২০১২ সালের আকলিমা আক্তার ডলি জীবিকার সন্ধানে লেবাননে পাড়ি জমায়। এরপর থেকে স্বামী আবুল কাশেম ও ডলির মধ্যে ছির ধরে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডলি লেবানন থেকে বাবার বাড়ি শিয়ালউড়ি গ্রামে এলে স্বামী আবুল কাশেম স্ত্রী ডলির কাছে যায়। কিন্তু ডলি আবুল কাশেমকে এড়িয়ে চলে। ডলিকে স্বামী আবুল কাশেম তার বাড়ি পাচগাঁও নিতে চাইলে ডলি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় আটক আবুল কাশেম জানান, সে ডলিকে ভালবেসে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেছিল। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে ডলি বদলে যায়। ডলি আবুল কাশেমকে বাদ দিয়ে কসবার শাহাদাৎ নামে এক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। এ কারনে সে রাগে ক্ষোভে দুঃখে গত শুক্রবার হরষপুর দেওয়ান বাজার রানা স্টোর থেকে ধারালো ছুরি কিনে শনিবার বিকেলে তার শ্বশুরবাড়ি ডলির কাছে যায়। শনিবার রাতে ডলির সঙ্গে সে এক বিছানায় শুতে গেলে ডলি তার সঙ্গে রাত যাপন করতে অস্বীকৃতি করে। এ কারণে সে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডলিকে ঘরে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি চালায়। আশংকাজনক অবস্থায় ডলিকে প্রথমে মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাধবপুর হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক আব্দুল আওয়াল জানান, ডলির গলার বেশ অংশ কেটে গেছে। তাকে বাঁচানো কঠিন হবে। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা আবুল কাশেমকে আটক করে হরষপুর সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবির সদস্যদের নিকট সোপর্দ করে। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামাল হোসেন সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসে। মাধবপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবুল কাশেম স্ত্রী ডলির গলা কেটে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল বলে স্বীকার করেছে। আবুল কাশেমকে আটক করা হয়েছে এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।