কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফ, বাবর সহ ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জ গঠন

Mayor-Arif-at-the-courtসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। রবিবার দুপুর ২ টায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মকবুল আহসান এ অভিযোগ গঠন করেন। সকাল ১০ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত মামলাকার্য চলে। দুপুর ২ টায় অভিযুক্ত ৩২ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শেষ হয়। এর মধ্যে ১০ জন পলাতক রয়েছেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নান, মেয়র আরিফুল হক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) সহ কারাবন্দী ১৪ আসামী এবং জামিনে থাকা ৮ আসামীসহ আলোচিত এ মামলার ২২ আসামী রবিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিরা। অন্যদিকে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে নির্দোষদের ছাড়িয়ে নিবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবিদের।
রবিবারের কার্যদিবসে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি আকবর হোসেন ও সিলেট জেলা আদালতের পিপি।
আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. লালা, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, অ্যাডভোকেট আশিক, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল গাফফার, arif aat courtঅ্যাডভোকেট এমদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ আরোও বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
১৩৫টি কার্যদিবসের মধ্যেই বিচার কাজ সম্পন্ন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরুজ্জামান বাবর, সিসিকের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গৌছসহ জেলহাজতে থাকা, জামিনে থাকা ও পলাতকসহ সর্বমোট ৩২ আসামীর বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেছেন।
গত ২১ জুন, ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই, ৩, ১০, ১৮ ও ২৫ আগস্ট এবং ৬ সেপ্টেম্বর মোট ৯ বার আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সব আসামি আদালতে হাজির করতে না পারায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হামলায় আরো নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ৯ বার পেছানোর পর অবশেষে রবিবার অভিযুক্ত ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। যার মাধ্যমে বিচারকাজ ত্বরান্বিত হবে এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি।