আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শাহজালাল মাজারের ওরস সম্পন্ন

ভাঙলো লাখো ভক্ত-আশেকানের মিলনমেলা

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শাহজালাল (রহ.)’র ওরস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গিলাপ প্রদান
‘লালে লাল বাবা শাহজালাল’! ‘শাহজালাল কি জয়’ ধ্বণিতে মুখর পুরো দরগা এলাকা

shahjalal urusসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ওলীকূল শিরোমণি, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ.)’র পবিত্র ওরস মোবারক সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে গিলাপ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী ৬৯৬তম ওরস মোবারকের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। শনিবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাত ও শিরণি বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওরস।
তবে গত বৃহস্পতিবার থেকেই ভক্ত-আশেকানরা ওরসকে কেন্দ্র করে ভীড় জমাতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই মাজার প্রাঙ্গন ও আশপাশের এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়।
জানা যায়, ওরসকে কেন্দ্র করে মানুষের চাপ সামলাতে শুক্রবার সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় দরগাহর প্রধান ফটকসহ পাঁচটি প্রবেশ পথে। বসানো হয় পুলিশ চেকপোস্ট। দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আগত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাজার ও shahjalal urus2আশপাশের এলাকায় লাগানো হয় ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয় সাড়ে ৭শ পুলিশ সদস্যকে। তন্মধ্যে দেড়শ পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করে।
এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন ওরসকে কেন্দ্র করে। তাছাড়া মাজার প্রাঙ্গনে বসানো হয় দুটি মেডিকেল ক্যাম্প। পাশাপাশি দমকল বাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি টিমও সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করে।
এদিকে শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে গিলাপ ছড়ানোর মাধ্যমে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী ওরস। সকাল ১১টায় প্রধানমন্তী শেখ হাসিনার পক্ষে মাজারে গিলাপ প্রদান করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
পরে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ওরসে একটি গরু প্রদান করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে গিলাপ ছড়ানো। এরপর রাতভর জিকির-আজগারে মুখরিত ছিল মাজার প্রাঙ্গন। শনিবার ভোর রাতে আখেরি মোনাজাতের পর শিরণি বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওরস।