গোলাপগঞ্জে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

bonnaগোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোলাপগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন। গত দু’দিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দু’নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন বন্যা কবলিত এলাকার নতুন নতুন স্থান প্লাবিত হচ্ছে। ফলে উপজেলার বুধবারী বাজার, শরীফগঞ্জ, বাদেপাশা, ভাদেশ্বর, ঢাকাদক্ষিন, আমুড়া ও ভাঘা ইউনিয়নের হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিকপুর-বহরগ্রাম ফেরী ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং নদীতে পানি স্রোত থাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে ওই নদীতে ফেরী বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন বাড়ি ঘর ছেড়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্যায় মানুষজনের দুর্ভোগের পাশাপাশি গোখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও হাট-বাজার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কুশিয়ারা নদীর পাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও কুশিয়ারা নদীর বাঁধ। বন্যা কবলিত এলাকার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় এ যাবৎ সরকারি কিংবা বেসরকারি ভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি বলে জানা যায়। ওই সব এলাকায় পানিবাহিত রোগও দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সরকারি ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও বন্যা কবলিত এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন করছেন বলে জানা গেছে।